করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ১৮ ঘণ্টা পরে করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে করোনার কারণে তাঁর ফুসফুস কার্যত চামড়ার বলের মতো শক্ত হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি অনেক শিরা-উপশিরাতেই রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে, অনেক ধমনী ফেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
৬২ বছরের ওই বৃদ্ধের অটোপসি করেন অক্সফোর্ড মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক দীনেশ রাও। তিনি বৃদ্ধের ফুসফুসের এই অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে গেছেন। দীনেশ রাও বলছেন, “কোভিড আক্রান্তদের ময়নাতদন্ত তাদের শরীরে রোগের অগ্রগতি বুঝতে সহায়তা করে। মৃত ব্যক্তিদের শরীর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মারণ ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বুঝে পরবর্তী রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ সুবধা হয়। করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে গলা এবং মুখ, ফুসফুসের পৃষ্ঠ, শ্বাস প্রশ্বাসের প্যাসেজ, ঘাড়ে এবং ত্বকের উপর ময়নাতদন্তের উপরের বিশেষ জোর দেওয়া হয়। কারণ ওই সমস্ত জায়গাতেই মারণ ভাইরাসের কামড় সবথেকে বেশি জোরাল হয়।”
তবে ওই বৃদ্ধের ফুসফুসের অবস্থা দেখে নতুন করে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসকেরা।