মালদা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের সমর্থনে মালদার ইংরেজবাজার থানার রথবাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল বামেরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা, ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এছাড়া সকাল সাড়ে নটা নাগাদ জাতীয় সড়কে যান চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মিনিট দশেক পরে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ।

১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের সমর্থনে দুর্গাপুর স্টেশনে বাম কর্মীরা ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে হয় ধস্তাধস্তি, গ্রেফতার হন শ’খানেক বাম কর্মী ও সমর্থক। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও র‍্যাফ।



মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মিছিল বার করে বামেরা মধ্যমগ্রাম পুর এলাকা পরিক্রমা করেন বাম কর্মীরা। সোদপুর রোড দিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বনধ ও ধর্মঘটের সমর্থনে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় এসইউসি কর্মীরা বাস আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যাত্রীদের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হন অবরোধকারীরা। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মেচেদা উড়ালপুলের নীচে রাজ্য সড়কে তাঁরা বাস আটকানোর চেষ্টা করেন। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে শুরু হয় বাদানুবাদ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

হাওড়া ময়দানের কাছে পঞ্চাননতলায় পথ অবরোধ করে কংগ্রেস। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বাধে ধস্তাধস্তি, ২ কংগ্রেস কর্মীকে আটক করা হয়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



হুগলির শ্রীরামপুর স্টেশনেও বামেরা রেল অবরোধ করেন। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল আটকানোর চেষ্টা করেন বাম কর্মীরা। পরে রেল পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।

বনধের প্রভাব পড়েনি হলদিয়ায়। কলকারখানায় শ্রমিকদের হাজিরা স্বাভাবিক। চলছে সরকারি-বেসরকারি বাস। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে পুলিশ পিকেট।

রাত থেকে জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে চলছে বৃষ্টি। ফলে আজ সকাল থেকে রাস্তায় লোকজন কম। চলছে হাতে গোনা সরকারি বাস, বেসরকারি বাস বন্ধ। সকালে স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের দেখা মেলেনি।

বীরভূমের রামপুরহাটে বনধের প্রভাব পড়েছে। সকালে বাস স্ট্যান্ড চত্বর ফাঁকা। বেসরকারি বাস চলেও অন্যদিনের তুলনায় সংখ্যায় খুবই কম।

বনধ ও ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে আসানসোলে জনজীবন স্বাভাবিক। বাস চলছে। সকালে স্কুল খুলেছে। প্রভাব পড়েনি আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক হাজিরাও স্বাভাবিক।

মালদা শহরেও যান চলাচল স্বাভাবিক। সরকারি-বেসরকারি বাস, অটো, টোটো সবই চলছে। সব্জি বাজার বসেছে রাস্তায়। খুলেছে স্কুলও।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে মিছিল করল এসইউসি। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মিছিল করে বেলদা শহর পরিক্রমা শেষে কেশিয়াড়ি মোড়ে জমায়েত করে তারা।

বনধ ও ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে বীরভূমের সিউড়িতে ট্রেন ও সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক। তুলনায় বেসরকারি বাস কম। চলছে অটো ও টোটো।

বনধ ও ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। শ্রমিকদের হাজিরা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।

কোচবিহারেও সচল সরকারি পরিবহণ। সকালে বনধের বিরোধিতায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস স্ট্যান্ড চত্বরে তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন মিছিল বার করে।

শিয়ালদা দক্ষিণের লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করে বনধ সমর্থকরা। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৭টা নাগাদ দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনের কাছে আপ লাইনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। এর জেরে বন্ধ ট্রেন চলাচল।