কলকাতা: শনিবার কালীপুজো। তার আগে শুক্রবার রাতে বাঙালির রীতি অনুযায়ী পালিত হবে ‘ভূত চতুর্দশী’। একে ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন্থ’, তার উপর ‘ভূত চতুর্দশী’, সবমিলিয়ে এই রাতটি ভয়ঙ্কর বলেই বহু মানুষের বিশ্বাস।

ভূত, অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা, পারলৌকিক কার্যকলাপে বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক, বেশিরভাগ বাঙালিই ‘ভূত চতুর্দশী’ পালন করেন। এই দিন বাড়িতে ১৪ শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এরপর সন্ধেবেলা বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালানো হয়। এই রাতে অশরীরি আত্মারা মানুষের খুব কাছাকাছি চলে আসে বলে অনেকের বিশ্বাস। আত্মারা যাতে মানুষের কোনও ক্ষতি করতে না পারে, বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়তে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই ১৪টি প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালানো হয়।

পাশ্চাত্যে যেমন ‘হ্যালোইন’ নিয়ে মাতামাতি করা হয়, তেমনই বাঙালিদের কাছেও ভূতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভূতে বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক, ভয় কম-বেশি সকলেই পান। তাই অশরীরিদের হাত থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কালীপুজোর আগের দিন রীতি মেনে বেশিরভাগ বাঙালিই ১৪ শাক খান এবং ১৪টি প্রদীপ জ্বালান।

যে মাসের প্রথম দিন রবিবার, সেই মাসের ১৩ তারিখ পড়ে শুক্রবারে। পাশ্চাত্যে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ অশুভ। এই দিনটি নিয়ে চলচ্চিত্রও হয়েছে। এবার এই দিনেই পড়েছে বাঙালির ‘ভূত চতুর্দশী’। ২০২০ সালে একের পর এক খারাপ খবর আসছে। কখন কী হয়, কিছুই বলা যায় না। তাই সাবধান থাকাই ভাল।