ন্যাশনাল ক্যাম্পেন ফর পিপলস রাইট টু ইনফরমেশনের সদস্য সৌরভ দাস আরটিআই আইনে জেএনইউ-এর সার্ভার রুমে ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে জানতে চান। সেই প্রশ্নের জবাবে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, '৫ জানুয়ারি বিকেল তিনটে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত জেএনইউ ক্যাম্পাসের উত্তর ও প্রধান দ্বারে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজের সর্বক্ষণের ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। ৩ জানুয়ারি জেএনইউ-এর প্রধান সার্ভার বন্ধ করা হয়। পরের দিনও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হওয়ায় সার্ভার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৯-এর ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়নি। ৪ জানুয়ারি দুপুর একটায় ১৭টি ফাইবার অপটিক্যাল কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ২০১৯-এর ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও বায়োমেট্রিক সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত বা ভাঙা হয়নি।'
৫ জানুয়ারি মুখ ঢাকা হামলাকারীরা তাণ্ডব চালায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে। ঐশী সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ও অধ্যাপককে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পরে ঐশীদের বিরুদ্ধেই সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে এফআইআর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন জানা গেল, সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালানোই হয়নি। ফলে জেএনইউ-এর উপাচার্য যে দাবি করেছিলেন, সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।