নয়াদিল্লি: এ মাসের প্রথম সপ্তাহে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক সিস্টেম ও সার্ভার রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙা হয়নি। তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের জবাবে এমনই জানাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ঐশী ঘোষদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।


ন্যাশনাল ক্যাম্পেন ফর পিপলস রাইট টু ইনফরমেশনের সদস্য সৌরভ দাস আরটিআই আইনে জেএনইউ-এর সার্ভার রুমে ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে জানতে চান। সেই প্রশ্নের জবাবে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, '৫ জানুয়ারি বিকেল তিনটে থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত জেএনইউ ক্যাম্পাসের উত্তর ও প্রধান দ্বারে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজের সর্বক্ষণের ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। ৩ জানুয়ারি জেএনইউ-এর প্রধান সার্ভার বন্ধ করা হয়। পরের দিনও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হওয়ায় সার্ভার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৯-এর ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়নি। ৪ জানুয়ারি দুপুর একটায় ১৭টি ফাইবার অপটিক্যাল কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ২০১৯-এর ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও বায়োমেট্রিক সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত বা ভাঙা হয়নি।'

৫ জানুয়ারি মুখ ঢাকা হামলাকারীরা তাণ্ডব চালায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে। ঐশী সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ও অধ্যাপককে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পরে ঐশীদের বিরুদ্ধেই সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে এফআইআর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন জানা গেল, সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালানোই হয়নি। ফলে জেএনইউ-এর উপাচার্য যে দাবি করেছিলেন, সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।