নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফের নিশানা করলেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। বললেন, সিএএ-র পাঁচ সমালোচকদের সঙ্গে কোনও মুক্ত বিতর্কসভায় অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম। এখনও নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর সরকার তা গ্রহণ করেনি।
বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় ফের ট্যুইটারে সোচ্চার হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানে সরকারকে তাঁর চ্যালেঞ্জের কথা আবার মনে করিয়ে দেন। তিনি লেখেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, তিনি পাঁচজন সেরা সমালোচককে চিহ্নিত করে তাঁদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিন। কেন প্রধানমন্ত্রী বা সরকার সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করছেন না? চিদম্বরম বলেন, পাঁচজন সমালোচকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটা বিতর্কসভা হোক। সেটা সরাসরি সম্প্রচার হোক। তারপর মানুষ তাঁদের সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরেকটি ট্যুইটে চিদম্বরম লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের উদ্দেশ্যে সিএএ নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতার মতে, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে সেটাই তো চেয়ে আসছে বিরোধী, বিচারক, শিক্ষাবিদ, লেখক, শিল্পী, ছাত্র ও যুবারা। তাই নয় কি?





প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই সিএএ প্রসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন অমিত শাহ। বলেন, বিরোধীরা যতই প্রতিবাদ করুক না কেন, নতুন আইন নিয়ে সরকার পিছিয়ে আসবে না। তিনি রাহুল গাঁধী, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদবকে প্রকাশ্যে বিতর্কে আসার চ্যালেঞ্জ জানান। শাহ বলেন, এই সব নেতারা ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য এসব (প্রতিবাদ) করছে।
গত সপ্তাহে, একটি সিএএ-প্রতিবাদ সভায় অংশ নিতে কলকাতায় এসেছিলেন চিদম্বরম। সেখানে তিনি এনআরসি ও জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন। বলেন, এনপিআর হল ছদ্মবেশী এনআরসি। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অসমে ধাক্কা খেয়ে মোদি সরকার গিয়ার পাল্টে শুধুমাত্র এনপিআর নিয়ে কথা বলছে।
চিদম্বরম বলেছিলেন, আমাদের লক্ষ্য হল সিএএ ও এনআরসি-র অসৎ-উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এপ্রিল থেকে এনপিআর চালু হলেও, আমরা তা মানব না। এটাই আমাদের অবস্থান। ওই মঞ্চ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি সহ বিরোধীদের এই ইস্যুতে হাতে হাত মেলানোর আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, যে সব বিরোধীরা এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, তাদের উচিৎ একযোগে লড়াই চালানো।