নয়াদিল্লি: ভারতের বুকে একাধিক নাশকতার কারিগর জইশ-ই-মহম্মদ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষিত হওয়ার কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদিকে দিল বিজেপি। দলের প্রথম সারির নেতা, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অভিমত, ভারতের অবস্থানের জয় হল। মাসুদ আজহার এখন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী। ভারত নিরাপদ হাতেই আছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতির বিরাট সাফল্যকেই তুলে ধরছে।



মাসুদকে বহুদিনের চেষ্টার পর শেষমেষ রাষ্ট্রপুঞ্জে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করতে পারাকে ভারতের বিরাট কূটনৈতিক জয় বলে দেখা হচ্ছে। সে ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি বলছে, এটা ঐতিহাসিক সাফল্য ভারতের। ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’, লোকসভা ভোট মাথায় রেখে তৈরি এই স্লোগানের উল্লেখও করেছে। ঘটনাচক্রে বিজেপি এই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদ, দেশের সুরক্ষাকে বড় ইস্যু করেছে। এবার মাসুদকে আজকের তকমা দেওয়াকেও তারা কাজে লাগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের মত, এজন্যই একজন শক্তিশালী, নির্ধারক নেতা চাই। নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর কূটনৈতিক চেষ্টার ফলেই মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা গেল। তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এটা অনেকদিন আগেই হওয়ার কথা ছিল। সন্ত্রাসবাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির জিরো টলারেন্স বা বিন্দুমাত্র সহ্য না করার দায়বদ্ধতাই ফুটে উঠল।



যদিও কংগ্রেস নেতা শশী তারুর সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার মত, মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হলেও পুলওয়ামা হামলা ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জের বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তারুর বলেন, মাসুদকে যদি অবশেষে পুলওয়ামার জন্য কালো তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকে, তবে নিশ্চয়ই তার আগের অপরাধগুলোর জন্য হয়েছে। তার মানে চিন কি মানছে যে, ওকে ১০ বছর ধরে আড়াল করে ভুল করেছে, সে পুলওয়ামার আগেও সন্ত্রাসবাদী ছিল?
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ট্যুইট করেন, এটা কি সত্যি যে, পুলওয়ামা ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস সংক্রান্ত যাবতীয় উল্লেখ বাদ দেওয়ার ফলেই মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে?



সমাজবাদী পার্টি সভাপতি অখিলেশ যাদবও ভারতীয় কূটনৈতিক বাহিনীকে তাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ‘বিরাট জয়’ পাওয়ায় অভিনন্দন জানান। বলেন, আমাদের দাবি, এবার পাকিস্তান ওকে গ্রেফতার করে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক, ওর সঙ্গে যুক্ত সব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করুক।