নয়াদিল্লি:  সরকার গড়া নিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে জট এখনও খোলেনি। ফল ঘোষণার পর ১৪ দিন কেটে গেলেও মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগ করে নেওয়ার দাবি নিয়ে অনড় শিবসেনা। এদিকে আজই সরকার গড়ার বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে চলেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে বান্দ্রার বাড়িতে আজ নব নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। তারপরই কি বেরিয়ে আসবে জোট নিয়ে রফা সূত্র?  সেদিকেই তাকিয়ে এখন রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, এরপরই দল ভাঙালোর আশঙ্কা এড়াতে সম্ভবত দক্ষিণ মুম্বইয়ের হোটেলে শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে বুধবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়ার সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করে দেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। তিনি জানান, এনসিপি ও কংগ্রেস বিরোধী আসনে বসতে তৈরি। শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়া প্রসঙ্গে পওয়ার স্পষ্টতই জানান, ‘এই প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে?’’ তাঁর ব্যাখ্যা, বিজেপি-শিবসেনা ২৫ বছর ধরে জোট করে রয়েছে। আজ হোক, কাল হোক তারা মিলবেই।
পওয়ারের বক্তব্যে কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছে শিবসেনা। এবার সরকার গড়ার ব্যাপারে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সে-বিষয়েই দুপুরের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকেই শিবসেনা ও বিজেপি একজোটে সরকার গড়বে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত আটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শিবসেনা ৫০-৫০ ফর্মুলার দাবিতে। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি ১০৫টি সিট দখলে রেখেছে। শিবসেনার ঝুলিতে ৫৬টি।
প্রথম থেকেই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে শিবসেনার কেউই শপথ নেবেন। বারবার ঠারেঠোরে বিজেপিকে একহাত নেন রাউত। দাবি করেন, তাঁদের দিকে অন্তত ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তবে এই সংখ্যার ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ ৯ নভেম্বর শেষ হচ্ছে।