নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে ভারতে চলে আসা মানুষজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ১৬ বছরের পুরনো বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে ফের আক্রমণ করল বিজেপি। আজ ২০০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৎকালীন ডেপুটি চেয়ারপার্সন নাজমা হেপতুল্লার উদ্দেশে মনমোহন বলছেন, ‘ম্যাডাম, আমি যখন এ বিষয়ে কথা বলছি তখন শরণার্থীদের প্রতি ব্যবহার নিয়ে কিছু বলতে চাই। দেশভাগের পর বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে সংখ্যালঘুদের বিতাড়ন করা হচ্ছে। সেই ব্যক্তিরা যদি আমাদের দেশে আশ্রয় চান, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উদার মনোভাব দেখানো উচিত। আশা করি ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব আইন করার সময় এই কথা মাথায় রাখবেন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী।’

এরপর নাজমা বলেন, ‘শ্রী আডবাণী, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরাও সমস্যায় আছেন। তাঁদের বিষয়টিও দেখা উচিত।’ এর জবাবে আডবাণী বলেন, ‘ম্যাডাম, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আমি একমত।’

এ বিষয়ে কংগ্রেসের এক মুখপাত্রর দাবি, ‘ডক্টর মনমোহন সিংহের এই ভিডিও বিজেপির মিথ্যা প্রচারের আরও একটি উদাহরণ। অপ্রাসঙ্গিকভাবে নির্বাচিত অংশ দেখিয়ে সত্য আড়াল করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেস পার্টি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভুলে ধরা এবং বিভেদমূলক নাগরিকপঞ্জীর মাধ্যমে কাল্পনিকভাবে ‘ওরা’, ‘শত্রু’ তৈরি করে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করার চেষ্টা চলছে। ২০০৩ সালে এটা হয়নি। শ্রী আডবাণী সেই সময় দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জী করার কথা বলে মানুষকে ভয় দেখাননি। এখন বিজেপির মেরুকরণের খেলা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অর্ধসত্য ও নির্বাচিত তথ্য প্রকাশ করছে বিজেপি। তিন দেশের সংখ্যালঘুদের সাহায্য করা উদ্দেশ্য নয়, মেরুকরণই লক্ষ্য। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ছাড়াও অন্য দেশগুলি থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হওয়া সংখ্যালঘুদের পাশে আছে কংগ্রেস।’