ইম্ফল: ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে, চার রাজ্যেই বিজেপির জয়জয়কার। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্মশিবির। বড় চমক দিয়ে, কংগ্রেসের থেকে পাঞ্জাব ছিনিয়ে নিল আম আদমি পার্টি। পাঁচ রাজ্যেই ধরাশায়ী হল রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কংগ্রেস। গোয়ায় দাগ কাটতে ব্যর্থ তৃণমূল।


গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হলেও, বিজেপির সরকার গড়া নিশ্চিত। মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে এবারের মূল লড়াই ছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মণিপুর প্রোগ্রেসিভ সেকুলার জোটের মধ্যে। 


উল্টোদিকে মণিপুর প্রোগ্রেসিভ সেকুবার জোটের মধ্যে কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে সিপিআই। মণিপুরের বিজেপি-র মুখ বীরেন সিং। অন্যদিকে কংগ্রেস জোটের মুখ ওকরাম ইবোবি সিং। কংগ্রস ৫৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, সিপিআই দিয়েছিল ২ টি আসনে।


অন্যদিকে বিজেপি ৬০টি আসনেই ভোট দিয়েছে। এই রাজনৈতিক দলগুলির বাইরেও ভোটযুদ্ধে সামিল হয়েছে নাগা পিপলস ফ্রন্ট। এরা ৯ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। এরা ৩৯ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এদের বাইরেও আরও কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা মণিপুর নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। যেমন সংযুক্ত জনতা দল। এরা ৩৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শরদ পাওয়ারের এনসিপি ৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শিবসেনা প্রার্থী দিয়েছে ৯টি আসনে। রামদাস অটওয়ালের রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া প্রার্থী দিয়েছি ৯ টি আসনে। 


একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি৷ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ তাঁর নিজের কেন্দ্রে জিতেছেন। এছাড়াও কংগ্রেস রাজ্যে মোট ৫টি আসন জিতেছে। কংগ্রেসের। এদিকে মণিপুরে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স ২টি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট পাঁচটি (৮.১৬ শতাংশ ভোট) এবং ন্যানশনালস পিপলস পার্টি আটটি (১৭.২৫ শতাংশ ভোট) আসনে জিতেছে৷ এদিকে বিজেপি এই রাজ্যে প্রথমবার একক শক্তিতে সরকার গঠন করতে চলেছে। এই রাজ্যে বিজেপি ৩৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে (৩১ আসন)। অপরদিকে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৬.৮ শতাংশ।