কলকাতা: লোকসভায় বিজেপিকে ১৮টি আসন দিয়ে বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভায় তারা পরিবর্তন চান। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দেখে নেওয়া যাক এদিন অমিত শাহ বলেছেন--- ‘৩৭০ ধারা বিলোপ করে শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্নপূরণ। শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন সফল করেছেন মোদি। বাংলায় পরিবর্তনের জন্য প্রতিজ্ঞা করুন। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাই। ৩০০ আসন অতিক্রমে বাংলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৮টি আসন দিয়ে বঙ্গবাসী বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিবর্তন চান। বাংলায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। একুশে বাংলায় মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার। রাজ্যে আড়াই কোটি মানুষ বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবুও বিজেপির ওপরে লাগাতার সন্ত্রাস হচ্ছে। গত ৪ মাসে ৩০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে সংসদে বিজেপি সাংসদদের ভোট। এনআরসি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন অমিত শাহ। বলেন--- ‘এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে এখানে এসেছি। এনআরসি নিয়ে মমতা মিথ্যাচার করছেন। মমতা বলছেন, লাখো লাখো হিন্দু শরনার্থীকে তাড়ানো হবে। হিন্দু শরনার্থীদের ভারত ছাড়তে হবে না। হিন্দু শরনার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বৌদ্ধ, জৈন শরনার্থীদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এ জন্য নাগরিকত্ব বিল আনবে মোদি সরকার। তৃণমূল বিরোধিতা করলেও বিল আসবেই। তবে একজন অনুপ্রবেশকারীকেও থাকতে দেব না। অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাঙ্ক বানিয়েছেন মমতা। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব, শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেব। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই হবে। বিরোধী থাকার সময় সংসদে অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব মমতা। নিজের বক্তব্যের সেই পুরনো ফুটেজ দেখুন মমতা। বাড়িতে গিয়ে শরনার্থীদের আশ্বাস দিন বিজেপি কর্মীরা। শরনার্থীদের বলুন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। একসময় সংস্কৃতির পীঠস্থান ছিল বাংলা। কংগ্রেস, কমিউনিস্ট, তৃণমূলকে সুযোগ দিয়েছেন। একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন, সোনার বাংলা গড়ব। আগে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের জন্য আদালতে যেতে হত। কিন্তু এখন বাংলার পরিস্থিতি বদলেছে। ১৮ আসন পাওয়ার পর আমি পুজো উদ্বোধনে এসেছি। বাংলায় সারদা, নারদা, সিন্ডিকেট হয়েছে।