নয়াদিল্লি: লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল-লের ক্ষমতা বহাল রইল বিজেপির। ২৬ সদস্যের কাউন্সিলে বিজেপি ১৫টি আসন পেয়েছে, কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৯টিতে। গত বছর আগস্টে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাওয়ার পর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে নির্দলরা বাকি ২টি আসন দখল করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়। ভোট পড়ে ৬৫.০৭ শতাংশ। দলের এই বড়সড় নির্বাচনী সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা বলেছেন, বিজেপির ওপর আস্থা, ভরসা রাখার জন্য লাদাখের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ট্যুইটে দলের স্থানীয় নেতা, কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
২০১৫-র নির্বাচনে বিজেপি ১৭টি, কংগ্রেস ৪টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ২টি, নির্দলরা তিনটি আসনে জিতেছিল। গতবারের চেয়ে কংগ্রেসের ৫টি আসন বেড়েছে। আমআদমি পার্টি (আপ) এবার প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও খাতা খুলতে পারেনি। ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নির্বাচনে সামিল হয়নি।


জানা গিয়েছে, বিজেপি প্রার্থীরা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের শেষ গ্রাম তুরতুকে জয়ী হলেও ভারত-চিন সীমান্তের চুসুলে হেরেছেন। নিওমা, চুসুলের আসনগুলিতে জিতেছেন নির্দলরা। বিজেপি জিতেছে দিসকিত, তেগার, হুন্দার, পানামিক, তাঙ্গতসে, কুনগিয়াম, মারতসেলাং, কারজক, থিকসে, চুচোট, স্কু-মারখা, লামাইউরু, খালত্সে, লিঙ্গসেত-এ।
সাসপোল, ইগু, তেমিসগাম, বাসগো, লোয়ার লে, আপার লে, ফায়াং, সকতি, স্কারবুচান কাউন্সিল আসনগুলি পেয়েছে কংগ্রেস।
২০১০-এর নির্বাচনে কংগ্রেস ২২টি, বিজেপি মাত্র চারটি আসনে জিতেছিল। অর্থাত্ ক্রমশঃ শক্তিক্ষয় হয়েছে কংগ্রেসের।
এবার ৪৫০২৫ জন মহিলা সমেত মোট ভোটার ছিলেন ৮৯৭৭৬ জন। ২৯৪ টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়।
লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল-লের মোট আসন ৩০টি। ২৬টিতে ভোট হয়।বাকি চারটি আসনে কাউন্সিলরদের মনোনীত করে সরকার।
১৯৯৫ সালে এই কাউন্সিল গঠনের পর থেকে কংগ্রেসই বারবার দাপট দেখাত। তিনবার তারা জয়ী হয়। ২০০৫ সালে জেতে লাদাখ ইউনিয়ন টেরিটরিয়াল ফ্রন্ট। বিজেপি গতবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত থেকে প্রথম ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়।
লাদাখের কারগিলের পৃথক হিল কাউন্সিল আছে। ২০১৮ সালে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে সেই কাউন্সিল।