নয়াদিল্লি: নিজের নাবালিকা কন্যাকে ছয় বছর থেকে বারেবারে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই ব্যক্তির বিচার হবে বলে নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।


এক্ষেত্রে হাইকোর্ট এই মামলায় অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি সংক্রান্ত ট্রায়াল কোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ গঠনের জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

অভিযুক্তকে খালাস করে ট্রায়াল কোর্ট বলেছিল, এই অভিযোগ সাধারণ নয়, অপরাধের নির্দিষ্ট তারিখও উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও নির্যাতিতা ১০০ নম্বরে পুলিশকে ফোন করেননি বা কোনও নিকটাত্মীয়কেও জানাননি। তাই অভিযোগের সারবত্তা নেই। ট্রায়াল কোর্টের এই যুক্তি ধোপে টেকে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা।

এই মামলার এফআইআর অনুসারে, দৃষ্টিহীন ব্যক্তিটির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। নির্যাতিতা তাঁর বাবা অর্থাত্ অভিযুক্তর সঙ্গেই থাকতেন। মেয়েটির জন্ম হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তিনি তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, কোন সময় থেকে যৌন নিগ্রহ শুরু হয়েছিল, তা তিনি মনে করতে পারেন না। তবে ২০০৪-০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত একাধিকবার এধরনের ঘটনা ঘটেছে।

এই মামলায় ট্রায়াল কোর্টের অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পুলিশের আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, এই অভিযোগ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ব্যাপারে গুরুতর সন্দেহের উদ্রেক করেছে।

নির্যাতিতা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, নিগ্রহের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। বড় হওয়ার পর তা তিনি বুঝতে পেরেছেন।

আদালত বলেছে, নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তাঁর একেবারে ছোটবেলায় ছয় বছর বয়সে ঘটনার সূত্রপাত হয় এবং এরপর তাঁর ১৩-১৪ বছর বয়স পর্যন্ত তা চলে। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালত বলেছে, শুধুমাত্র অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব  অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়ার ভিত্তি হতে পারে না।