মুম্বই: জল বলে ভুল করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়ে ফেললেন বৃহন্মুম্বই পুরসভার যুগ্ম মিউনিসিপ্যাল কমিশনার রমেশ পওয়ার। তবে কোনও বিপত্তি ঘটেনি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভুল বুঝতে পেরে মুখ থেকে স্যানিটাইজার ফেলে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ফের কাজে ফেরেন।

এদিন বৃহন্মুম্বই পুরসভার শিক্ষা সংক্রান্ত বাজেট পেশ করার কথা ছিল পওয়ারের। তিনি সেই অনুষ্ঠানে পৌঁছেও যান। সেখানে বাজেট পেশ করার ঠিক আগে তিনি জল খেতে গিয়ে ভুল করে জলের বদলে পাশেই রাখা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের একটি বোতল তুলে নেন। সেই বোতলের ঢাকনা খুলে স্যানিটাইজার মুখে ঢালতেও উদ্যত হন তিনি। পিছন থেকে ছুটে এসে তাঁর ভুল সংশোধন করে দেন এক ব্যক্তি। পওয়ারও নিজের ভুল বুঝতে পারেন। এরপর তাঁর দিকে জলের বোতল এগিয়ে দেওয়া হয়। সেই বোতল থেকে জল খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হলের বাইরে চলে যান পওয়ার। মুখ ধুয়ে ফিরে এসে তিনি বাজেট পেশ করেন।

এ বিষয়ে পওয়ার বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, বক্তব্য পেশ করার আগে জল খেয়ে নেওয়া উচিত। সেই কারণেই বোতল হাতে নিয়ে খেয়ে ফেলি। জল আর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল পাশাপাশি রাখা ছিল। দুটো বোতল একইরকম দেখতে ছিল। সেই কারণেই আমার ভুল হয়ে যায়। স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলার পরমুহূর্তেই আমি ভুল বুঝতে পারি। সেটি আমার গলার ভিতরে চলে যায়নি।’

স্যানিটাইজার-কাণ্ডের পরেও বৃহন্মুম্বই পুরসভার শিক্ষা সংক্রান্ত বাজেট পেশ করেন পওয়ার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ ২,৯৪৫.৭৮ কোটি টাকা।

এর আগে একাধিকবার অনেকে ভুল করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলেছেন। তার ফলে যেমন অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তেমনই মৃত্যুও হয়েছে। রবিবারই মহারাষ্ট্রের ইয়াবতমল জেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২টি শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিনের বদলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খাইয়ে দেওয়া হয়। শিশুগুলির বয়স এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর তারা ছুটি পেয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনজন নার্স এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।