কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ট্যুইটারকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, ‘সাংবিধানিক নীতি সহ বিধিবদ্ধ আইনের বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ বা আইনি অধিকার নেই ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের। এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভারতীয় সংবিধান বা ভারতের বিধিবদ্ধ আইন সম্পর্কে যেটুকু জানতে পেরেছে, তার ভিত্তিতে একতরফাভাবে বিধি প্রয়োগের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে করা ট্যুইটে হ্যাশট্যাগ গণহত্যা ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলির নিষ্ক্রিয়তা বা অসম্পূর্ণতার বিষয়ে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য।’
তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শনিবার ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ট্যুইটে ‘হ্যাশট্যাগ মোদি প্ল্যানিং ফার্মার জেনোসাইড’ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ভুয়ো, ভীতি প্রদর্শনকারী ও প্ররোচনামূলক ট্যুইট করা হচ্ছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করে দিতে হবে। সরকারের নির্দেশ মেনে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করে দেয় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আবার সেই অ্যাকাউন্টগুলি আনব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশ ঠিকমতো পালন না করায় ট্যুইটারকে সতর্ক করে দেওয়া হল।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালি ঘিরে ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীরা লালকেল্লায় গিয়ে তাণ্ডব চালান। স্বাধীনতা দিবসে যেখানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, সেখানে অন্য পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা করেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও এই কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা চলছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ট্যুইটারকে সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্র।