নয়াদিল্লি: রেললাইন থেকে উদ্ধার হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেন স্ট্যানলির (২৭) মুণ্ডহীন দেহ। ফ্ল্যাটে তাঁর মা লিসির (৫৫) ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। পুলিশের সন্দেহ, মাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন অধ্যাপক। তাঁর দেহের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট না পাওয়া গেলেও, ফ্ল্যাট থেকে মালয়লমে লেখা একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি দেহেরই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রানিবাগ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মৃত অধ্যাপকের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, তিনি সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক হন। এরপর হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেন। আইআইটি-দিল্লিতে পিএইচডি করার সময়ই এক বছর আগে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে দর্শনের অ্যাড হক প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি দিল্লিতে থাকছিলেন। তাঁর মা সাত মাস আগে দিল্লি আসেন।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, স্ট্যানলি ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কেরলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা চলছিল। তাঁরা অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত ছিলেন। সেই কারণে তাঁরা অবসাদে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগেই আত্মহত্যা করবেন বলে বন্ধুদের জানান স্ট্যানলি। তিনি মাকেও আত্মহত্যা করতে বলেন। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বন্ধুরা। তাঁরা চরম পদক্ষেপ নিতে বারণ করেন। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি।