নয়াদিল্লি: কাশ্মীর থেকে দেশের আর্থিক হাল- সংসদের এবারের শীতকালীন অধিবেশন উত্তপ্ত হওয়ার সবরকম সম্ভাবনা থাকলেও তা অন্যান্যবারের থেকে সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, এবারের অধিবেশন বসবে ১৮ নভেম্বর, শেষ হবে ১৩ ডিসেম্বর। গত ২ বছরে অধিবেশন বসেছে ২১ নভেম্বর চলেছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।

গত সপ্তাহে সংসদ বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বাসভবনে গিয়ে অধিবেশনের দিনক্ষণ দিয়ে আলোচনা করে।

এবারের শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারপক্ষের সঙ্গে বিরোধীদের তুমুল মতবিরোধের সম্ভাবনা। ৩৭০ ধারা সংশোধন পরবর্তী জম্মু কাশ্মীরের অবস্থা নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে চেপে ধরতে পারেন। আর্থিক মন্দা নিয়েও সরকারের জবাবদিহি চাইতে পারেন তাঁরা।

বেশ কয়েকটি বিল ছাড়াও কেন্দ্র এই অধিবেশনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্ডিন্যান্স আইনে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে। একটি হল, নতুন ও ঘরোয়া নির্মাণ সংস্থাগুলির জন্য কর্পোরেট করের হার কমানো, এর ফলে আর্থিক মন্দা কমবে ও বৃদ্ধি বাড়বে বলে অর্থনীতিকরা মনে করছেন। দ্বিতীয়টি ই সিগারেট ও সে ধরনের বস্তু তৈরি, জমা করা ও বিক্রি আইন করে নিষিদ্ধ করবে। নরেন্দ্র মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথম অধিবেশন অর্থাৎ বাদল অধিবেশন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়। সব মিলিয়ে চলে ২৮০ ঘণ্টা, পাশ হয় ৩৬টি বিল। এগুলির মধ্যে ছিল তিন তালাক বিল, জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ইত্যাদি।

উল্টোদিকে রাজ্যসভা ৩২টি বিল পাশ করে। রাজ্যসভা চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ওই অধিবেশনটি গত ১৭ বছরে সেরা ছিল। যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করে, ক্ষমতাসীন বিজেপি বিশেষ আলোচনা ছাড়াই ও সিলেক্ট কমিটিতে বিবেচনার জন্য না পাঠিয়েই একের পর এক বিল পাশ করিয়েছে।