জয়পুর সাহিত্য উৎসবে এসে দিল্লির শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন নন্দিতা দাস। তিনি মন্তব্য করেন 'এই দেশে থেকে আরও অনেক শাহিনবাগ উঠে আসবে।' তিনি আরও বলেন- ' যারা এখানে চার পুরুষ ধরে বসবাস করছে, সরকার তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলছেন! এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমার মনে হয় প্রত্যেকের এই আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা উচিত।'
এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শ্রীকান্ত শর্মা বলেন- 'বলিউডে যারা সিএএ-র বিরুদ্ধে কথা বলছেন এবং তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। নিশ্চিতভাবে কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের উস্কানি দিয়েছে। সিএএ-র বিরুদ্ধে কথা বলার আগে একবার সিএএ পড়ে দেখা উচিত। আমরা কারুর নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছি না। বরং আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব দেব যারা একসময় অত্যাচারিত হয়েছেন।'
সিএএ ও এনআরসি বিরোধী মহিলা ও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানান নন্দিতা দাস। তবে তিনি বারবার দাবি করেন, কোনও রাজনৈতিক দল এই প্রতিবাদের পিছনে নেই। যুবসমাজ নিজেদের তাগিদেই স্বতঃপ্রণোদিত প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদের ছবি উঠে আসছে দেশের বিভিন্ন দিক থেকে। আজই সিএএ-র বিরোধিতা করে বিজেপি ছেড়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রায় ৮০ জন বিজেপি নেতা।