ভোপাল: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) ‘বিভাজনমূলক’ আখ্যা দিয়ে তার বিরোধিতা করে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ছাড়লেন দলের প্রায় ৮০ মুসলিম নেতা। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি জে পি নড্ডাকে চিঠি লিখে বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়েছেন তাঁরা। পদত্যাগীদের একজন রাজিক কুরেশি ফার্সিওয়ালা জানিয়েছেন, সিএএ ধর্মের ভিত্তির ওপর তৈরি এক বিভেদমূলক বিধি বলে মনে করছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে বিজেপির সংখ্য়ালঘু সেলের একাধিক পদাধিকারী আছেন। রাজিক বলেছেন, ২০১৯ এর ডিসেম্বর সিএএ কার্যকর হওয়ার পর নিজেদের সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে থাকাটা ক্রমশ বেশি করে কঠিন হয়ে উঠছিল আমাদের পক্ষে। এধরনের অনুষ্ঠানে লোকে আমাদের গালাগাল করছিল, প্রশ্ন করছিল, সিএএ-র মতো একটি বিভেদমূলক আইন সত্ত্বেও আর কতদিন আমরা চুপ থাকব?
রাজিক আরও বলেন, যে কোনও ধর্ম, সম্প্রদায়েরই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। কেবলমাত্র ধর্মের মাপকাঠিতে একটি লোক অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসবাদী, স্থির করা যায় না।
নড্ডাকে লেখা চিঠিতে মুসলিম নেতারা বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে নাগরিকরা সমান মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় মাপকাঠিতে সিএএ কার্যকর করছে। এটা দেশের বিভাজন ঘটানো, সংবিধানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী আচরণ।
পদত্য়াগী নেতাদের কেউ কেউ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে শোনা যাচ্ছে।এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিজয়বর্গীয় বলেন, পুরো বিষয়টা জানি না। তবে (সিএএ নিয়ে) কেউ বিভ্রান্ত হলে তাঁকে ব্যাখ্যা করে বোঝাব।