বিহার: স্বাধীনতা দিবসের আগে ট্রেনে বোমা রেখে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক আইএস-এর। বিহারের বেশ কিছু স্টেশনে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বুধবার রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে গোপন চিঠি পৌঁছয়। তাতে ট্রেনে নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে ভোজপুর, বক্সার, জহানাবাদ, নওয়াদা স্টেশন। গয়া, নালন্দা, লখীসরাই, বেগুসরাই, জামুই স্টেশনেও নজরদারি চলছে।
জানা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে থাকতে পারে টাইমার লাগানো বিস্ফোরক। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে দ্বারভাঙা স্টেশনে বিস্ফোরণ হয়েছে। ১৫ অগাস্টের আগে ফের বিস্ফোরণের ছক কষতে পারে বলেই সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তাঁরা জানতে পেরেছেন উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং পঞ্জাবের যেসব শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাচ্ছেন সেই ট্রেনগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনায় রয়েছে জঙ্গিরা। তাতে মদত দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা।
পঞ্জাবের স্লিপার সেল গুলিকে ইতিমধ্যেই অ্যাক্টিভ করে তুলেছে তারা। গোয়েন্দাদের কাছে আরও খবর, আইএসআই এই ট্রেনগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে জঙ্গিদের।
ইতিমধ্যেই পঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশ থেকে আসা ট্রেনগুলির উপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। রেলস্টেশন গুলির সিসিটিভিতে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেল পুলিশ স্পেশাল চেকিং শুরু করেছে একাধিক স্টেশনে। ট্রেন গুলিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিপদসীমায় রয়েছে এমন স্টেশনগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার জম্মুর আকাশে ফের ড্রোন-আতঙ্ক ছড়ায়। গতকাল রাতে আরনিয়া সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে আকাশে চলন্ত আলোকোজ্জ্বল বস্তু দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলি চালানোর পর সেটি পাক সীমান্তের দিকে চলে যায়।
এর আগেও তিনরাত জম্মুর আকাশে ড্রোন দেখা গিয়েছিল। গত ২৬ জুন গভীর রাতে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে। এয়ার ট্রাফিক সিগনাল বিল্ডিংয়ের পাশের একটি বাড়ির ছাদে এসে পড়ে বোমা। এই বিস্ফোরণে আহত হন দুই জওয়ান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কালুচক সেনাঘাঁটির কাছে ড্রোন দেখা যায়। ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। পরের দিন সুঞ্জুয়ানে এক রাতে তিনবার আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে।