তামিলনাড়ুর উপ মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে ও লোকসভা সাংসদ ওপি রবীন্দ্রনাথ কুমার। বাবা-ছেলে খতিয়ে দেখছেন পরিস্থিতি, শিশুটির বাবা মায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন। এছাড়া রয়েছেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর, শুল্কমন্ত্রী আর বি উদয়কুমার ও আরও সরকারি আধিকারিক। রাজ্যের শুল্কবিভাগের কমিশনার জে রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছেন, বিকল্প ওই গর্ত দিয়ে উদ্ধারকারীরা সুজিতের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। আর ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধারকাজের চূড়ান্ত পর্ব শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছেন, মাটিতে পাথর থাকায় গর্ত খুঁড়তে সমস্যা হচ্ছে। রবিবার রাতে রমানাথপুরম থেকে আরও একটি ড্রিলিং মেশিন আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, 'দ্বিতীয় মেশিনটি কাজ শুরু করার পর ১০ ঘণ্টায় চার ফিট গর্ত খোঁড়া সম্ভব হয়েছে।'
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর জানিয়েছেন, খননকার্যের শুরুতে পাথর পড়ে গর্ত বুজে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে ৪০ ফিট খোঁড়া হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের ধারণা, আর ধস নামার আশঙ্কা নেই।
গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি টুইট করেছেন, 'খুদে সাহসী সুজিত উইলসনের জন্য প্রার্থনা করছি। মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর সঙ্গে উদ্ধারকার্য নিয়ে কথা বলেছি। শিশুটিকে নিরাপদে রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।'
শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ির কাছে খেলতে খেলতে সুজিত ওই গর্তে পড়ে যায়। পরে সে আরও ভেতরে চলে যায় আর এখন আটকে রয়েছে গর্তের মধ্যে প্রায় ১০০ ফুট গভীরে। উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, গর্ত থেকে ৩ মিটার মত দূরে একইরকম গর্ত খুঁড়ছে তারা, যাতে ভিতরে নেমে ছেলেটিকে তুলে আনা যায়। গর্ত খোঁড়া হয়ে গেলে দমকল কর্মীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে নীচে নেমে পড়বেন। জানা গিয়েছে, ছেলেটি এখনও বেঁচে তবে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে সে।
২৫ জন পেশাদার রয়েছেন এই উদ্ধারকারী দলে। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ৬জন সদস্য রয়েছেন উদ্ধারকারী দলে। সুজিতের কাছে সারাক্ষণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা সুজিতকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী।