বালাসোর: ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের নতুন সংস্করণের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল। আজ সকালে ওড়িশার বালাসোর উপকূলে এই পরীক্ষা করা হয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র।


প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ক্ষেপণাস্ত্রে নতুন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা কতটা কার্যকরী হয়েছে, তা দেখার জন্য আজকের পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই পরীক্ষা সফল হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে।


ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অস্ত্র ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ বা ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এই ধরনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের প্রায় তিন গুণ বেশি গতিতে ছুটে যেতে পারে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হচ্ছে। ব্রহ্মোসকে আরও উন্নত করে তোলার কাজ চালানো হচ্ছে।


নৌবাহিনীর প্রায় সব বিভাগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে। নৌবাহিনীর সাবমেরিনেও যাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তার কাজ চলছে। আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণের যোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়ে যাবে। সেটা হলে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়বে। সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে, এমন দেশগুলিকে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হতে পারে। 


কয়েকদিন আগেই সমুদ্র থেকে সমুদ্রে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়। বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় নৌবাহিনীর স্টিলথ গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।


ট্যুইট করে ডিআরডিও জানিয়েছে, ‘আজ আইএনএস বিশাখাপত্তনম থেকে সমুদ্র থেকে সমুদ্রে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত করেছে।’