নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাশ্মীর সংক্রান্ত কমিটির সদস্যকে দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত্ পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ডেব্বি অ্যাব্রাহামস নামে ওই লেবার পার্টির এমপি ‘বৈধ’ ভিসা বাতিল হওয়ার পর কাস্টমসের ছাড়পত্র পাননি বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁর সহকারী। ডেব্বি ২০১১ থেকে সাংসদ। দুদিনের ব্যক্তিগত ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর ভিসার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভিসা বাতিল হয়েছে। এক বিবৃতিতে ডেব্বি বলেছেন, কেন ভিসা প্রত্যাহার করা হল, ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ পাওয়া সম্ভব কিনা, নিশ্চিত হয়ে জানার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ মনে হল কিছু জানে না। এমনকী এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিটিও বলেন, তিনিও জানেন না, তবে যা ঘটেছে, সেজন্য সত্যিই তিনি দুঃখিত। সুতরাং এখন বহিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছি, যদি না অবশ্য ভারত সরকারের মনোভাব বদলায়। তবে আমি ভুলে যেতে প্রস্তুত যে, আমার সঙ্গে ক্রিমিনালের মতো আচরণ করা হয়েছে। আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে বলে আশা করি।
বিমানবন্দরে অভিবাসন দপ্তরের এক অফিসার তাঁর সঙ্গে চিত্কার করে কথা বলেন, আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখান বলেও অভিযোগ করেন ডেব্বি।


ঘটনাচক্রে ডেব্বি সোমবার অপরাহ্নেই ট্যুইট করেন, তিনি সামাজিক ন্য়য় ও মানবাধিকারের স্বার্থে কাজ চালিয়ে যাবেন। ব্রিটেনের কাশ্মীর সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারপার্সন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই তিনি ভারতীয় হাইকমিশনার চিঠি লিখে কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর দাবি করেন। ব্রিটিশ সরকারকেও বলেন, তারা যেন কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে মুখ খোলে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেন এই ইস্যু তুলবে কিনা, জানতে চান।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে, ওই ব্রিটিশ রাজনীতিকের ই-ভিসা বাতিল হয়েছে, তাঁর কাছে ভারত সফরের বৈধ ভিসা ছিল না। তাই তাঁকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামতে দেওয়া হয়নি। এটা সময়মতো নিয়ম-পদ্ধতি মেনে তাঁকে জানিয়েও দেওয়া হয়।