কলকাতা: করোনা আবহে ফের কলকাতায় চিকিত্সক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতা। শনিবার ব্রড স্ট্রিটের বাসিন্দা এক চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেন এক প্রতিবেশী যুবক। আক্রান্ত চিকিত্সকের দাবি, তাঁর বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় মারধর করেন স্থানীয় যুবক। অভিযুক্তকে আটক করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ।


নিজের পাড়াতেই আক্রান্ত হলেন চিকিত্সক। করোনাকালে ফের কলকাতায় চিকিত্সক-নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল ব্রড স্ট্রিট। দন্ত চিকিত্সকের দাবি, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওয়েলিংটনের চেম্বার থেকে ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে ফিরছিলেন।


পাড়াতেই একটি বাইকের সঙ্গে চিকিত্সকের বাইকের ধাক্কা লাগে। বাইকের ক্ষতি না হলেও, দুঃখ প্রকাশ করেন চিকিত্সক। তাতেও লাভ হয়নি। চিকিৎসকের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও আচমকা ওই বাইক আরোহী মারধর শুরু করেন তাঁকে। ঘুসি মেরে চিকিত্সকের নাক-মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আলেকজান্ডার মাও নামে ওই চিকিত্সকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ।


তবে ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিত্সক-নিগ্রহের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এবার নিজের পাড়ায় এক চিকিত্সকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল।


আক্রান্ত ওই চিকিৎসক বলেন, 'এ দিন ফেরার পথে ব্রেক কষার সময় ওই ব্য়ক্তির জিনিসপত্রে সামান্য একটু আঘাত লাগে বাইকের। সরি বলার পরও আমায় গালিগালাজ করতে থাকেন। গালি দেওয়ার প্রতিবাদ করি। গালি দিতে বারণ করায় মারধর করা হয়। এক জনই আমায় মারধর করেছে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি।'


এর আগেও চিকিৎসক নিগ্রহের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগেই অসমের হোজাইয়ে কোভিড কেয়ার সেন্টারে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। গোটা ঘটনাকে বর্বরোচিত হামলা বলে বর্ণনা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। বিচার পাবেন আক্রান্ত চিকিৎসক। অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছে আইএমএ।