কলকাতা: বন্ধ হয়ে গেল ২৩০ এবং ২০২ রুটের বাস।জোড়া রুটে বাস বন্ধের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ, টালা ব্রিজে ভারী যান চলাচল বন্ধ হওয়া।

২৩০ রুটের বাস মালিকদের অভিযোগ, ঘুরপথে যেতে অনেক সময় লাগছিল।  বাড়ছিল লোকসানের বোঝা।  তার উপর পুলিশি হয়রানি। তাই বন্ধ রাখা হল বাস।

২০২ রুটের বাসকেও ঘুরপথে যেতে হচ্ছিল।  এই রুটের বাস মালিকদের অভিযোগ,  নতুন রুটে অটো চালকরা তাঁদের যাত্রী তুলতে বাধা দিচ্ছেন।  এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে হাঙ্গামাও হয়। প্রতিবাদে তাঁরাও বন্ধ করে দেন বাস পরিষেবা।

২৩০ নম্বর বাসের রুট ছিলমারহাটি থেকে টালা ব্রিজ হয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা।

বাস মালিক সংগঠন সূত্রে খবর, টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার পর ২৩০ নম্বর বাসের রুট পরিবর্তন করা হয়।  নতুন রুট হয়, কামারহাটি থেকে নাগেরবাজার, লেকটাউন, উল্টোডাঙা, ফুলবাগান, শিয়ালদা হয়ে চিড়িয়াখানা।

২৩০ বাস ইউনিয়নের দাবি,  রুট বদলের পর কামারহাটি থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা যেতে সময় লাগছে প্রায় ৭ ঘণ্টা। একটি বাস দিনে দু’বারের বেশি ট্রিপ করতে পারছে না।

সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয় ২৩০ রুটের বাস ইউনিয়নের।  বাস ইউনিয়নের দাবি, রুট সংক্ষপ্তি করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল পরিবহণ দফতরের তরফে। শ্যামবাজার দিয়ে বাস চালানোর কথা বলা হয়েছিল।

শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের পুলিশও মৌখিক অনুমতি দিয়েছিল বলে দাবি বাস ইউনিয়নের।

কিন্তু বুধবার শ্যামবাজার দিয়ে বাস চালানোর সময় পুলিশ ৫টি বাস আটকায়।

এরই প্রতিবাদে বুধবার রাতে তৃণমূল পরিচালিত বাস সংগঠন সিদ্ধান্ত নেয়, তারা রুটে বাস চালাবে না।

৬২টি বাস চলত ২৩০ রুটে। ৪০০ জন কর্মী। বাস বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় এতজন কর্মী ও তাঁদের পরিবার। এই রুটে বাস বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরাও।



২০২ রুটের বাসের অন্য সমস্যা। এই বাসের রুট ছিল নাগেরবাজার থেকে সায়েন্স সিটি।বাসের চালক, কন্ডাক্টরদের অভিযোগ, রুট বদলের পর লেকটাউনে যাত্রী তুলতে বাধা দিচ্ছেন অটোচালকরা।

বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ করায় একটি বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।এর জেরে রুটে বাস চালানো বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন।দুর্ভোগে যাত্রীরা।

একে টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় উত্তরের যাত্রীদের অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তার উপর ২টি রুটের বাস বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।