মুসলিম মহিলাদের বিবাহ অধিকার সুরক্ষা বিলটি লোকসভায় ইতিমধ্যেই পাশ হয়েছে। তবে বিলের বেশ কয়েকটি ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। সংসদের উচ্চকক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকায় বিলটি আটকে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাই অর্ডিন্যান্সের রাস্তায় হাঁটল সরকার।
গত বছরই তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি, অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তারপরও তা অব্যাহত থাকায় প্রথাটিকে আইনি অপরাধের তকমা দিতে বিল আনা হয়।
এদিকে অর্ডিন্যান্সটি মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, বিশ্বের২২টি দেশে তিন তালাক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে লিঙ্গসাম্যের বিষয়টিকে ভারতে পুরোপুরি জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে বলেই রাজ্যসভায় তিন তালাক বিল পাশে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে তারপরও তিনি সনিয়া গাঁধী, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘লিঙ্গ সমতাকে জোরদার করতে’ তিন তালাক বিল পাশে সাহায্য করার আবেদন করেন।
বলেন, তিন তালাক লাগামছাড়া হারে ঘটেই চলেছে। তাই তিন তালাক সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সটি আনা একান্তই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল, না আনলেই চলছিল না।