নয়াদিল্লি: ৪ বছরের মেয়ের ধর্ষণ, খুনে দোষীর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মামলার সব মৌলিক নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে আজ, সেইসঙ্গে বলেছে, আবেদনকারীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।
মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলার বাসিন্দা বিনোদ ওরফে রাহুল চৌথা নামে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হাইকোর্টের ৮ আগস্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। হাইকোর্টের রায়ে শিশুকন্যা ধর্ষণ, খুনে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছিল।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিনোদকে শাহদোল জেলার বিশেষ পকসো আদালত দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়, পকসো আইনের ৫ ও ৬ ধারায় তার যাবজ্জীবন জেলও হয়। মেয়েটিকে সে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করে ২০১৭-র ১৩ মে। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি ঝোপের ভিতর থেকে বাচ্চাটির দেহ উদ্ধার হয়।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের জব্বলপুর বেঞ্চ বিনোদের মৃত্যুদণ্ড বৈধ বলে জানিয়ে পর্যবেক্ষণে বলেছিল, রাষ্ট্র এতটা ‘নরম’ নয় যে, এ ধরনের গুরুতর অপরাধ করার পরও নরখাদকদের মানবিকতার নামে রেহাই দেওয়া হবে। এ ধরনের লোকের হাতে মানবিকতা আরও বিপন্ন। আবেদনকারীর (বিনোদ) প্রতি নমনীয়তা দেখানোর কোনও জায়গা নেই।
মধ্যপ্রদেশ নতুন ধর্ষণ রোধ আইন চালু করেছে যাতে ১২ বা তার কম বয়সের মেয়ের ধর্ষণে সাজা মৃত্যুদণ্ড। এনসিআরবি-র রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৬-য় দেশে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।