বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন, ‘বিরুদ্ধ মত রক্ষা করা একটি সতর্কতা যা বলে দেয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার আমাদের উন্নয়ন ও সামাজিক বোঝাপড়ার বৈধ পন্থা বাতলে দিলেও, আমাদের বহুত্ববাদী সমাজের আদর্শ ও পরিচয়ের ক্ষেত্রে একাধিপত্য বিস্তার করতে পারে না।’
সিএএ-এনআরসি নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই এদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন চন্দ্রচূড়। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই যে এই দেশের ভিত্তি, সেকথাও শোনা যায় বিচারপতির গলায়। তিনি বলেন, ‘বিরুদ্ধে মত দমন করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগানো হয়, তাহলে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। যা আইনের শাসনের বিরোধী। এটি বহুত্ববাদী সমাজের সাংবিধানিক দর্শনের বিরোধী। প্রশ্ন করার অধিকার ও বিরুদ্ধ মত দমন করা হলে রাজনৈতিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সেই প্রেক্ষিতেই বিরুদ্ধ মত গণতন্ত্রের সেফটি ভালভ।’
কখনও অসহিষ্ণুতা, কখনও উগ্র জাতীয়তাবাদ, কখনও বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে কুরুচিকর আক্রমণ। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এসবের মধ্যে দিয়ে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে দেশের। তাই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।