নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি রাকেশ আস্থানাকে ঘুষ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, এই মিডিয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ট্যুইট করে নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। সম্প্রতি সিবিআই তার নিজের স্পেশাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। বলা হয়েছে, মাংস রপ্তানিকারী ব্যবসায়ী মঈন কুরেশিকে জড়ানো এক মামলায় তিনি যে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন, তাঁকে রেহাই দিতে দালালদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন আস্থানা। এরপরই তাঁকে ঘুষ মামলায় অভিযুক্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এহেন সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ঘটনায় শোরগোল চলছে। এই প্রেক্ষাপটেই কংগ্রেস সভাপতি মিডিয়া রিপোর্ট উল্লেখ করে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নয়নের মণি, গোধরা সিট খ্যাত গুজরাত ক্যাডারের যে অফিসার সিবিআইয়ে দু নম্বর হিসাবে ঢুকেছিলেন, তিনি এবার ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। এই প্রধানমন্ত্রীর জমানায় সিবিআই রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিক ক্ষয় হয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানের, তার ভিতরেই চলছে লড়াই।
কংগ্রেস সভাপতি ও তাঁর দল আস্থানাকে সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর পদে বসানো নিয়ে বরাবর মোদীকে আক্রমণ করে চলেছে।
সিবিআইয়ে ডিরেক্টর, ডেপুটি ডিরেক্টরের পারস্পরিক বিবাদ তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তার দু নম্বর শীর্ষ পদাধিকারী আস্থানা ও আরও ৪ জনকে ঘুষ নেওয়ায় অভিযুক্ত করার পর চরমে পৌঁছেছে দুজনের পারস্পরিক আক্রমণ। গুজরাত ক্যাডারের অফিসার আস্থানার অভিযোগ, তাঁকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার (সিভিসি) ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসেও (পিএমও) জানিয়েছেন বলে দাবি আস্থানার। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের সওয়াল, আস্থানার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ এ ধারায় উল্লিখিত নিয়মবিধি মানা হয়নি, ফলে এফআইআরটি ধোঁপে টিকছে না। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয় সিবিআইয়ে গত এক বছর ধরে চলতে থাকা ঘরোয়া অশান্তির ব্যাপারে অবহিত। পিএমও এতে অসন্তুষ্ট বলে শোনা যাচ্ছে।