নয়াদিল্লিহেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপীন রাওয়াত সহ ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় যান্ত্রিক ত্রুটি বা নাশকতার অভিযোগ উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


‘অন্তর্ঘাত, গাফিলতি কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য কপ্টার দুর্ঘটনা নয়। খারাপ আবহাওয়ার জন্যেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপীন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে। হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। কপ্টারটি মেঘের ভিতরে ঢুকে যাওয়ায় দুর্ঘটনা। পাইলট দিশেহারা হয়ে যাওয়াতেই জেনারেল বিপীন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে। কপ্টারের ডেটা রেকর্ড, ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের সূত্রে উঠে এসেছে তথ্য’, কুন্নুরে বিপীন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট, খবর সূত্রের।


গত ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর কুন্নুরে বায়ুসেনার ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় সস্ত্রীক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপীন রাওয়াত-সহ ১৪ জনের। সেই দুর্ঘটনারই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল।


এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিংহ, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, দার্জিলিঙের তাকদার বাসিন্দা হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের। হেলিকপ্টারটি চালাচ্ছিলেন উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিংহ চৌহান। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুর কম্যান্ড হাসপাতালে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।


এক মাসেরও বেশি সময় পরে এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল। কী কারণে কপ্টার ভেঙে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ সহ ১৪ জনের মৃত্যু হল, সেটা নিয়ে এতদিন ধরে জল্পনা চলছিল। কিন্তু এবার তদন্ত রিপোর্টে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা গেল।