নয়াদিল্লি: ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে পুলিশের আধুনিকীকরণের (Modernisation of Police Forces) জন্য ২৬,২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাব্যবস্থা (Security) জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারত (North-East) এবং মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতেও (Maoists-affected areas) নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। নতুন ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হবে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি তৈরি করা হবে, তদন্তের জন্য় আরও যা যা প্রয়োজন, সেসবের ব্যবস্থা করা হবে।





এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) নেতৃত্বে পুলিশবাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য নতুন প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ চলবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পুলিশবাহিনীর আধুনিকীকরণ করা হবে। পুলিশবাহিনীকে উন্নত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার জন্য ২৬,২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’


কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করা, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি এবং পুলিশের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যগুলিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা এবং অপরাধ দমন ব্যবস্থা উন্নততর করার বিষয়েও সাহায্য করা হবে। ফরেন্সিক ব্যবস্থাকে উন্নত করা হবে।


জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং মাওবাদী উপদ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত ও আধুনিক করে তোলার জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে ১৮,৮৩৯ কোটি টাকা। রাজ্য পুলিশবাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হবে ৪,৮৪৬ কোটি টাকা। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে অত্যাধুনিক ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি গড়ে তোলার জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে ২,০৮০.৫০ কোটি টাকা।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাওবাদীদের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। মাওবাদীদের দমন করার জন্য ৬টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮,৬৮৯ কোটি টাকা। যে জেলাগুলিতে মাওবাদীদের উপদ্রব বেশি, সেই জেলাগুলির পুলিশ বিভাগকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে। ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন বা স্পেশালাইজড ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলার জন্য ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মাদকের কারবারীদের দমন করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।