নয়াদিল্লি:  নাগরিকপঞ্জী ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল সারা দেশ। নানা মহল থেকে আসছে বিরোধিতা। এরই মধ্যে অমিত শাহের আধার-মন্তব্য ঘিরে আরও ঘোরালো হয়েছে পরিস্থিতি। প্রশ্ন উঠছে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে কোন কোন নথি বা তথ্য যথেষ্ট হবে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাগরিকতা নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা দিল।
শুক্রবার অমিত শাহের দফতরের নাগরিকত্ব আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,  ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে  ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের মধ্যে যাঁরা ভারতে জন্মেছেন,  তাঁরা সকলেই জন্মসূত্রে এ দেশের নাগরিক।
তাছাড়া বলে হয়েছে, ১ জুলাই ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৪-এর ৩ ডিসেম্বর  মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন  এবং যাঁদের বাবা-মায়ের মধ্যে কোনও এক জন ভারতের নাগরিক,  তিনিও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন।
তৃতীয় ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে ২০০৪ সালের ৩ ডিসেম্বর পরে যাঁরা জন্মেছেন এবং যাঁদের বাবা-মা  উভয়েই ভারতের নাগরিক অথবা  তাঁদের একজন কেউ ভারতীয় নাগরিক এবং অন্য জন এদেশের  অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নন,  তাঁরা ভারতের নাগরিক।
উত্তরাধিকার সূত্রে কারা ভারতের নাগরিক? যে ব্যক্তি ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারির থেকে ১৯৯২ সালের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে জন্মেছেন এবং তার বাবা জন্মসূত্রে ভারতের নাগরিক, তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন।
নাগরিক হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরা যদি ৭ বছর ধরে ভারতে বসবাস করে থাকেন, তাহলে তিনি নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন। যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের নাবালক ছেলে বা মেয়েও ভারতীয় নাগরিক। যে কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি, যাঁর বাবা-মাও এদেশের নাগরিক, তিনিও দেশের নাগরিক হিসেবে মান্যতা পাবেন। তাছাড়া যাঁরা ১২ বছর ধরে এদেশের মাটিতে বসবাস করছেন, স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন।
তাছাড়া, নতুন কোনও অঞ্চল ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলে, সেখানে কারা নাগরিকত্ব পাবেন, তা সরকার স্পষ্ট করে দেবে। কত তারিখ থেকেই বা তারা নাগরিকত্ব পাবেন, তাও পরিষ্কার করে দেবে সরকার। ঠিক যেমনটি হয়েছিল, গোয়া, দমন, দিউ, সিকিম ও ছিটমহলের ক্ষেত্রে।