নয়াদিল্লি: কেন্দ্র দেশের যে কোনও প্রান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বহিষ্কার করবে বলে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ।
বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসমের পর দেশের অন্য সব রাজ্যেও এবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরি হবে কিনা, সমাজবাদী পার্টির সদস্য জাভেদ আলি খানের তোলা এক অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নজরদারিতে অসমে এনআরসি আপডেট করার কাজ চলছে। সর্বশেষ তথ্য সংযোজন করে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার কথা আগামী ৩১ জুলাই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুব ভাল প্রশ্ন। এনআরসি অসম চুক্তিরই অংশ, বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও ছিল। এর ভিত্তিতে সরকারও ক্ষমতায় এসেছে। দেশের মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে বসবাসকারী বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে আন্তর্জাতিক আইন-বিধি মেনেই দেশ থেকে বের করে দেবে সরকার।
এদিকে নানা মহল থেকে অসমে এনআরসি-র সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, প্রায় ২৫ লক্ষ আবেদনকারীর সই করা পিটিশন কেন্দ্র ও রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ হয়েছে, যাতে তালিকায় ভুলভ্রান্তি, বিভ্রাট সংশোধনের জন্য সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন রয়েছে। অনেক বৈধ নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, আবার অনেক ভুয়ো নামও তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ মেলায় মন্ত্রী বলেন, তাই সরকার এজন্য সময়সীমা বাড়াতে আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্টকে। এতে হয়তো খানিকটা বিলম্ব হবে, কিন্তু কোনও ভুল-ভ্রান্তিমুক্ত এনআরসি চালু হবেই। কোনও বৈধ নাগরিকের নাম এনআরসিতে বাদ যাবে না, সেটা সুনিশ্চিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে রাই বলেন, আমাদের কাছে একেবারে নির্ভূল তথ্য নেই। ওরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। কিছু লোকজন বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। শীঘ্রই পরিসংখ্যান পেয়ে যাব আমরা।
কোনও বেআইনি অভিবাসনকারীর নাম এনআরসি-তে অন্তর্ভূক্ত হবে না, সরকার এটা সুনিশ্চিত করতে চায় বলে জানান রাই। এও জানান, ভারতে বিদেশিদের সময় পেরনোর পরও বেআইনি ভাবে বসবাস করা আটকাতে বিদেশি ট্রাইব্যুনালও তৈরি হয়েছে।