লখনউ: যে সমস্ত ব্যক্তিরা করোনা আবহে কর্মহীন হয়ে পড়ার পর কম বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের এবং কর্মদাতাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ ২০২২ পর্যন্ত দিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। যে সংস্থাগুলি ইপিএফও-তে নথিভূক্ত, সেই সংস্থাগুলি এবং তাদের কর্মীদেরই এই সুবিধা মিলবে।


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় কোনও জেলায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী কর্মী, যাঁরা সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করছিলেন, তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন, সেক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত ১৬টি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।  


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘২০২০ সালে আমরা মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের বাজেট ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লক্ষ কোটি টাকা করেছি। করোনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’


এর আগে শুক্রবার ইপিএফও-র আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। ইপিএফও-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছরের জুনে অতিরিক্ত ১২.৮৩ লক্ষ কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দেওয়া হয়েছে।


শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এ বছরের জুনে করোনা অতিমারী কিছুটা কমেছে। পে রোলের তথ্যে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় জুনে নেট পে রোল অ্যাডিশনসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গিয়েছে। প্রত্যেক মাসের তথ্য খতিয়ে দেখার পর দেখা যাচ্ছে, এ বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে নেট সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা অতিরিক্ত ৫.০৯ লক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে।’


সরকারি বা বেসরকারি কর্মীদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইপিএফও-তে নথিভূক্ত থাকা কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসরের পর পেনশন, পরিবারের পেনশন, কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে পরিবারের জন্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থা সম্পর্কেই এদিন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর এই ঘোষণায় উপকৃত হতে পারেন বহু কর্মী।