জম্মু: দেশব্যাপী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) ইস্যুতে বিতর্ক, অসন্তোষের মধ্যেই এবার দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়ানোই কেন্দ্রের পরবর্তী লক্ষ্য বলে জানালেন জিতেন্দ্র সিংহ। জম্মুতে আজ এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (পিএমও) প্রতিমন্ত্রী সরকার রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে, যেদিন সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশের পর আইন চালু হয়েছে, সেদিন থেকে তা কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরেও প্রযোজ্য হয়েছে।
জম্মুতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি আছে বলে উল্লেখ করে তালিকা তৈরির পাশাপাশি তাদের বায়োমেট্রিকস তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী তিনটি দেশের ৬টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর (হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ) মধ্যে পড়ে না রোহিঙ্গারা। তারা মায়ানমারের লোক, ফলে সিএএ-র আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্বের বৈধ দাবিদার নয়, তাই তাদের ভারত ছাড়তেই হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের শরণার্থীদের জন্য পৃথক বিধি, বন্দোবস্ত নেই এবং এখনও পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে বিবেচনা করা হচ্ছে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান, ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে নাম নথিভুক্ত আছে, এমন রোহিঙ্গার সংখ্যা আনুমানিক ১৪০০০। কিন্তু বেআইনি ভাবে বসবাস করছেন প্রায় ৪০০০০ রোহিঙ্গা।
এ বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যসভায় জানায়, রোহিঙ্গা সহ ২২ জন মায়ানমারের নাগরিককে ২০১৭ থেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
২০১৭-য় মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়তে থাকেন। আনুমানিক ৬.৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন । তার আগের বছরে মায়ানমার ত্যাগ করেছিলেন ২.১৩ লাখ রোহিঙ্গা।