নয়াদিল্লি: ইরানের অভিজাত কাডস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসিম সোলেমানি মার্কিন বোমায় প্রাণ হারিয়েছেন। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিমান হামলার নির্দেশ দেন বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে, এই হামলার ফল যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে।


অসম্ভব ক্ষমতাশালী জেনারেল সোলেমানি আজ যখন কনভয়ে করে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর ওপর হামলা চালায় মার্কিন বিমান। সোলেমানি ছাড়াও এই হামলায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরাকে সক্রিয় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের ডেপুটি কম্যান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিস। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস কিছুদিন আগে আক্রমণ করে একটি ইরানি জঙ্গি গোষ্ঠী, ইরাকে মার্কিন সেনার ওপরেও ইরানি জঙ্গিদের হামলা চলেছে। এরপরই এই বিমানহানার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পেন্টাগন বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যৎ ইরানীয় হামলা বন্ধ করতে এই প্রত্যাঘাত। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে ইজরায়েল ও আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর ইরানী হামলা আরও জোরদার হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মুহূর্তে ছুটি কাটাচ্ছেন আমেরিকার ফ্লোরিডার পাম বিচে। সেখান থেকে এই টুইট করেছেন তিনি।


ইরান বলেছে, মৃত জেনারেল সোলেমানি আইএসআইএস, আল কায়দা, আল নুসরার মত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে সব থেকে কার্যকরী লড়াই চালাচ্ছিলেন। আমেরিকার এই খ্যাপামোর যাবতীয় দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।


রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ মে ওই চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে সরিয়ে নেন ট্রাম্প। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে গোলযোগ আরও বেড়েছে।