নয়াদিল্লি: রাতের আকাশে ফের বিরল মহাজাগতিক ঘটনা! আজ চলতি বছরের শেষ উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রণ। গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ১টা ৪-এ, গ্রহণের উত্তুঙ্গ মূহূর্ত দুপুর ৩ টে বেজে ১৩ মিনিটে, শেষ বিকেল ৫টা ২২-এ।


কোখায় দেখা যাবে গ্রহণ?

গ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

ভারত থেকে কি গ্রহণ দেখা যাবে?

drik pnachang এর মতে, ভারতে এই গ্রহণ দেখা যাবে না বলে অনেকের মত। আবার কারও কারও মতে, কলকাতা, লখনউ, বারাণসী, ভুবনেশ্বর থেকেও দেখা যেতে পারে ভ্রমণ।

উপচ্ছায়া গ্রহণ কী?

সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই পথে চলে এলে লাগে গ্রহণ। এই সময়ে পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে চাঁদ। ফলে পৃথিবী থেকে দেখা যায় না রুপোলি চাঁদকে। তাকে বলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। একাংশ ঢাকা না পড়লে বলে আংশিক গ্রহণ। যখন পুরোপুরি ঢাকা না পড়ে হালকাভাবে ঢাকা পড়ে চাঁদ, কমে যায় তার ঔজ্জ্বল্য, তখন তাকে বলে উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ যদি পৃথিবীর মূল ছায়াস্থলের (আম্ব্রা) মধ্য দিয়ে পার করে, তাহলে পূর্ণ বা আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবী থেকে চাঁদের পুরোটা বা আংশিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
কিন্তু, উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার বাইরের অংশ (পেনাম্ব্রা) দিয়ে পার করে। এক্ষেত্রে, চাঁদের ঔজ্জ্বল্য কিছুটা কমে যায় মাত্র। তবে চাঁদ ভালভাবেই দেখা যায়। এই বছর এর আগে তিনবার হয়েছে চন্দ্রগ্রহণ- ১০ জানুয়ারি, ৫ জুন ও ৫ জুলাই।

৫ জুলাই ছিল আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা। একইসঙ্গে সেই দিনটি ছিল গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাস পূর্ণিমা হিসেবেও পালিত। পরপর তিন বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার দিন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এর আগে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একইভাবে আষাঢ়ি পূর্ণিমার দিন চন্দ্রগ্রহণ ঘটেছিল। আর আজ রাস পূর্ণিমা।