নয়াদিল্লি: ২০০৯ সালে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে চন্দ্রযান-২ অভিযান নিয়ে ইসরোকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, চন্দ্রযান-২ অভিযানের বিষয়ে ইসরো ও নাসার একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে গিয়ে রোবটের সাহায্যে চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠে গবেষণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছি। নাসার বিজ্ঞানীরা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের চাঁদের খনিজ সম্পদের বিষয়ে তাঁদের অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছেন। মহাকাশযান তৈরির খরচ ২০,০০০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ২,০০০ মার্কিন ডলারে নিয়ে আসার জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে ওজন এক কিলোগ্রাম করতে হবে।’

২০০৩ সালে প্রস্তাবিত চন্দ্রযান-১ অভিযানের কথা জানতে পেরে কালাম বলেছিলেন, ‘চন্দ্রযানের মাধ্যমে চাঁদে অভিযান সারা দেশকে আলোড়িত করবে। বিশেষ করে তরুণ বিজ্ঞানী ও শিশুরা এর ফলে উৎসাহিত হবে। আমি নিশ্চিত, চাঁদে অভিযান মহাকাশে ভারতের পদক্ষেপের সূচনা।’

২০০৮ সালে প্রথমবার চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় ভারত। চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠে জল থাকার কথা জানায় চন্দ্রযান-১। পরে নাসাও জানায়, চাঁদে জলের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। সেই অভিযানের পর আজ চন্দ্রযান-২ অভিযানের সূচনা হচ্ছে। এই অভিযান সফল হলে, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের গৌরব অর্জন করবে ভারত।