মুম্বই: নাগপুরের সঙ্গে সাউদাম্পটনের দূরত্ব প্রায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার। দুই ভারতীয় পেসারের সাফল্য অবশ্য মিলিয়ে দিয়েছে নাগপুর ও সাউদাম্পটনকে। নাগপুরে চেতন শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছেন মহম্মদ শামি। সাউদাম্পটনে। যা দেখে উচ্ছ্বসিত চেতন।

বোর্ডের ওয়েবসাইটে চেতন বলেছেন, ‘শামি যখন হ্যাটট্রিকের বলটা করার জন্য রান আপ ধরে দৌড় শুরু করে, আমার মন বলছিল হ্যাটট্রিক হবেই। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বলটা যখন লেগস্টাম্প ছিটকে দিল, চেয়ার ছেড়ে কমপক্ষে চার ফিট লাফিয়ে উঠেছিলাম। দারুণ উপভোগ করেছি।’



১৯৮৭ সালে নাগপুরে নিউজিল্যান্ডের এওয়েন চ্যাটফিল্ডকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেছিলেন চেতন। চলতি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক করেন শামি। চেতন বলছেন, ‘দুটো হ্যাটট্রিকের মিল বলতে, দুজনই লেগস্টাম্প ভেঙেছি। আমার বল চ্যাটফিল্ডের লেগস্টাম্প উড়িয়েছিল। শামির বলও লেগস্টাম্প ভেঙেছে। আমরা দুজনই ডানহাতি জোরে বোলার।’

রোজ বোলে হ্যাটট্রিকের আগে শামির সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেতন বলছেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম ধোনি হ্যাটট্রিক নিয়েই কথা বলেছে। নিশ্চয়ই বলেছে, সোজা বল কর। উইকেট টু উইকেট ডেলিভারি। ১৯৮৭ সালে ঠিক এই কথাই আমাকে বলেছিল কপিল দেব। কারণ হ্যাটট্রিক আটকাতে এসে ব্যাটসম্যানেরাও ঘাবড়ে থাকে। স্নায়ুর চাপে থাকে। কারণ বোলার ততক্ষণে পরপর দু বলে দুই উইকেট তুলে নিয়েছে।’

বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ইতিবাচক কথা শুনিয়েছেন চেতন। জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা বলেছেন, ‘ভারতীয় বোলাররা দারুণ বল করছে। আশা করব ওরা এই ছন্দ গোটা টুর্নামেন্টেই বজায় রাখবে। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরবে।’