নয়াদিল্লি: দিল্লি সংলগ্ন নারেলায় সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ জুন ওই নৃশংস ঘটনা ঘটে। ফ্রুটির লোভ দেখিয়ে ২৮ বছরের অভিযুক্ত প্রতিবেশী মেয়েটিকে তিকরি খুর্দের একটি পার্কের নিকাশি প্ল্যান্টের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে নিগ্রহ করার পর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে সে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।  পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন মেয়েটি নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরের দিন নারেলার স্বর্ণ জয়ন্তী বিহারের পরিত্যক্ত জলনিকাশি প্ল্যান্টে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আউটার নর্থ) গৌরব শর্মা বলেছেন, তদন্তে এই ঘটনায় ওই প্রতিবেশীর যুক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, কয়েকদিন তার স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। মত্ত অবস্থায় মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে ফ্রুটির লোভ দেখিয়ে জল নিকাশি প্ল্যান্টের কাছে ডেকে নিয়ে যায় সে।

সাত বছরের মেয়েটি ও অভিযুক্তর পরিবার দীর্ঘদিন একে অন্যের পরিচিত ছিল। দুই পরিবারই শহাদ্র থেকে স্বর্ণ জয়ন্তী বিহারে উঠে এসেছিল। নির্যাতিতা মেয়েটি অভিযুক্তকে মামা বলে ডাকত। অভিযুক্তও মাঝেমধ্যেই তাকে টফি ও অন্যান্য খাবারের জিনিস দিত।

ডিসিপি জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মেয়েটির বাবার সঙ্গে অভিযুক্তর বোনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। আগে তারা হাতেনাতে ধরাও পড়েছিল।

অভিযুক্ত পেশায় গাড়ির চালক। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে সে একটি আচার তৈরির কারখানায় কাজ করত। মৃতের বাবা সীলামপুরে মশলা বিক্রয় করেন।