দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে আবেগতাড়িত ছত্রধর। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, জেল এসে বেরিয়ে দেখেছেন তাঁর অনেক কিছুই পূরণ হয়েছে। তৃণমূলে ছত্রধর যোগ দিচ্ছেন কি না, এমন জল্পনার মধ্যে তিনি বলেন, ‘ওরা যদি বলে তাহলে কথা বলব।'
লালগড় আন্দোলনের আগে তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ছত্রধর। ২০০৮-০৯ সালে লালগড় আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে রাজনীতির জগতে তাঁর উত্থান। সেইসময় ছত্রধরকে সামনে রেখে পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির আন্দোলন শুরু হয়। তিনি ছিলেন তৎকালীন সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির মুখপাত্র।
রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা ইউএপিএ-তে দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ সেই সবকটি মামলায় মুক্তি পেয়ে আবারও সক্রিয় রাজনীতিতেই ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ছত্রধর। ইঙ্গিত দিলেন পুরনো দল তৃণমূলে যোগ দেবারও।
এদিকে ছত্রধরের মুক্তি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আজ বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ছত্রধর মাহাতো এতদিন তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন ওকে জেলে রেখেছিল কেন?’
মুক্তির পর ঝাড়গ্রাম থেকে লালগড় পর্যন্ত এদিন ছত্রধরের সঙ্গে ছিলেন বিনপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল মাহাতো। আন্দোলন পর্বেও ছত্রধরের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি।