কলকাতা : পড়াশোনার চাপ, তার ওপর টেলিভিশন থেকে শুরু ....তারপর ইন্টারনেট....চেনা শৈশবটা যেন কয়েক দশকে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। মাঠে নেমে সারা বিকেলটা হুটোপুটি- নানা রকম খেলাধূলো। ফুটবল-ক্রিকেট তো ছিলই। তার পাশাপাশি ছিল  নানা ধরনের খেলা। পাড়ার চৌহদ্দির মধ্যেই কোনও ফাঁকা জায়গা একটা সময় কচিকাঁচাদের এ ধরনের খেলায় মেতে উঠত। এখন এ সব খেলা অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। এখনকার শিশুদের হয়ত জানাই নেই এ সব খেলার কথা। এমনই একটি খেলার পুরানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। সাদা-কালো পুরানো ছবি। এই ছবি দেখে স্মৃতির সরণী বেয়ে অনেকেই ফিরে গিয়েছেন শৈশবের দিনগুলি। আইপিএস অফিসার দীপাংশু কাবরা ট্যুইটারে এই ছবি শেয়ার করেছেন। আর এই ছবি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে অনেকেরই ঠোঁটে খেলে গিয়েছে এক চিলতে হাসি। কাবরার ওই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।



কাবরা যে ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে বাচ্চাদের একটা জনপ্রিয় খেলার ছবি। একদল শিশু এই খেলা খেলছে। ছবি পোস্ট করে কাবরা লিখেছেন, এই খেলাটা মনে আছে?  এর নামটা জানেন?








কাবরার এই পোস্ট প্রচুর লাইক পেয়েছে। রিট্যুইটও হয়েছে দেদার। কমেন্টস সেকশনে অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন।  কাবরা-র ট্যুইটের জবাবে অনেকেই বলেছেন, এই খেলার নাম 'পোশাম্পা'।
এই খেলার সময় যে ছড়াটি বলা হত, তা কারুর কারুর দিব্যি মনে আছে। তাঁরা তা শেয়ারও করেছেন।
গ্রাম বাংলাতেও কিন্তু এই খেলার ব্যাপক প্রচলন ছিল। সম্ভবত খেলাটির নাম 'ওপেন টু বাইস্কোপ'। ছড়ার পংক্তিগুলি  এ রকম- 'ওপেন টু বাইস্কোপ, নাইন টেন তেইশ কোপ, সুলতানা বিবিয়ানা, সাহেব বাবুর বৈঠকখানা, সাহেব বলেছে যেতে, পান সুপারি খেতে.....'।
খেলাটা অনেকটা এ রকম। দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হাত  উঁচু করে পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে তোরণ তৈরি করে। আর খেলোয়াড়রা রেলগাড়ির মতো সারি বেঁধে ছড়া বলতে বলতে ওই তোরণের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে থাকে। ছড়া শেষ হওয়া মাত্র তোরণ বন্ধ হয়ে যাবে। তোরণের মধ্যে থাকা খেলোয়াড় ধরা পড়ে।
আসলে সম্ভবত কোনও খেলার জন্য দল গঠনের জন্য খেলা হয়। তোরণ যারা তৈরি করে তারা দুই দলের প্রধান।

এই খেলা সম্পর্কে আরও জানা রয়েছে? নিচের  'মঞ্চ' সেকশনে গিয়ে জানান।