বেজিং: বেজিংয়ের সরকারি পার্কে মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুমতি এবার দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে অবশেষে সাফাই দিল চিন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সঙ্গে গাঁধীজয়ন্তী একই দিনে পড়েছিল। সেজন্য ‘টেকনিক্যাল কারণে’ই গাঁধীজীর জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠান পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
২০০৫ থেকে বেজিংয়ের চাওইয়াং পার্কে মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এবার চিন সরকার অনুমতি দিতে অস্বীকার করায় গত বুধবার একেবারে শেষ মুহুর্তে অনুষ্ঠানের স্থান ভারতীয় দূতাবাসে সরিয়ে আনতে হয়।
এই ঘটনা সম্পর্কে ভারতে চিনের দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণেই এই অনুমতি দেওয়া যায়নি। বিবৃতিতে জি বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত কার্যাবলীর পরিপ্রেক্ষিতেই চিনে ভারতীয় দূতাবাসকে মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়’।
নয়াদিল্লির চিনের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে।
২০০৫-এ চিনের বিখ্যাত ভাষ্কর ইউয়ানের হাতে গড়া ভারতের জাতির জনকের মূর্তি বসার পর গত ১৪ বছর ধরে বেজিংয়ের এই পার্কেই মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এই জনপ্রিয় সরকারি পার্কেই চিনে মহাত্মা গাঁধীর একমাত্র মূর্তি রয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবার অনেক আগেই অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
চিনের দূতাবাসের মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাঁধীজী গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যিনি ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি চিন ও সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। মহাত্মা গাঁধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানগুলির আয়োজনকে স্বাগত জানায় চিন’।