নয়াদিল্লি: ভারত ‘আগ্রাসন চালিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করেছে’, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদের এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে মহাথিরের বক্তব্যে আপত্তি প্রকাশ করে মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, দুটি দেশের সম্পর্কের কথা মাথা রেখে মালয়েশিয়া সরকার এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুক। ভারতের পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত বলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিমত জানিয়েছেন মহাথির। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ভাষণে তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপের পিছনে হয়ত কারণ রয়েছে, কিন্তু তবুও তা ভুল। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব সত্ত্বেও অভিযান চালিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর কব্জা করা এই সমস্যা মেটাতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করা উচিত ভারতের।
পাল্টা রবীশ কুমার বলেছেন, বাকি সব রাজন্যশাসিত প্রদেশের মতো জম্মু ও কাশ্মীরও অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে সই করেছিল। পাকিস্তান হামলা চালিয়ে তার কিছু অংশ বেআইনিভাবে দখল করেছে। মালয়েশিয়া সরকারের দুটি দেশের বন্ধুত্বের কথা মাথায় রেখে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরডোগানেরও সমালোচনা করেন রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এর মীমাংসা দাবি করায়। এরডোগান বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানি প্রতিবেশীদের মতো কাশ্মীরি জনগণের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য আলোচনার পথেই ন্যয়, সমতার ভিত্তিতে সমস্যা মেটাতে হবে, সংঘাতের রাস্তা নয়। জবাবে রবীশ কুমার বলেন, এটা একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করার আগে তুরস্ক সরকারকে বাস্তব পরিস্থিতি সঠিক ভাবে বোঝার আবেদন করছি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘প্ররোচনামূলক’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, উনি কী করে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্পর্ক চালাতে হয়, সেটা আমার মনে হয় উনি জানেন না। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হল, উনি ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জেহাদের ডাক দিয়েছেন, যা স্বাভাবিক নয়। কাশ্মীর প্রশ্নে ৫২টি দেশ পাকিস্তানের পাশে রয়েছে, ইমরানের এই দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, পাকিস্তান তাদের সমর্থক দেশের সংখ্যা বানিয়ে বলছে!