নয়াদিল্লি: বিহারের মুজফফরপুরে এফআইআর দায়ের হল অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহ, মনিরত্নম সহ প্রায় ৫০ জন নামী ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে যাঁরা কিছুদিন আগে দেশে গণপিটুনি, অসহিষ্ণুতা ক্রমশ বাড়ছে, এই অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন। সুধীর কুমার ওঝা নামে স্থানীয় এক আইনজীবীর দায়ের করা পিটিশনের ওপর মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সূ্র্য্যকান্ত তেওয়ারির দুমাস আগের আদেশের পর মামলা রুজু হয়েছে। ওঝা বলেছেন, গত ২০ আগস্ট মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আমার পিটিশন গ্রহণ করে আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এখানকার সদর থানায় এফআইআর করা হয়েছে। ওই চিঠিতে সই করা প্রায় ৫০জনকে তাঁর পিটিশনে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান ওঝা। তাঁর বক্তব্য, ওঁরা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর চমত্কার পারফরম্যান্সকে খাটো করেছেন। পাশাপাশি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকেও সমর্থন করেছেন’ তাঁরা।
চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনেগাল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভা মুদগলের মতো নামী মানুষরাও। রাষ্ট্রদ্রোহিতা, জনজীবনে ঝামেলা পাকানো, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, শান্তিভঙ্গ করার জন্য উসকানি দেওয়ার উদ্দেশে অবমাননা সংক্রান্ত ধারা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশিষ্টজনদের চিঠিতে বলা হয়, বিরুদ্ধ মতপ্রকাশের অধিকার ছাড়া কোনও গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না, মুসলিম, দলিত ও অন্য সংখ্যালঘুদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে প্ররোচনামূলক, উগ্র হুঙ্কার দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, দেশে একনায়কতন্ত্রী জমানা কায়েম হচ্ছে, প্রতিটি নাগরিক এটা বুঝতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই জেলে পোরা হচ্ছে, আক্রমণ চলছে। মিডিয়াকে ধ্বংস করা হচ্ছে।