নয়াদিল্লি:  সুস্থ থাকতে হাসির ভূমিকা অস্বীকারের কোনও সুযোগ নেই। কারণ, প্রাণখোলা হাসি মন হাল্কা করে দেয়। জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন যখন হাসতে হাসতে পেট চেপে ধরতে হয়, চোয়ালও ব্যাথা হয়ে যায়। কিন্তু কে জানে, এমন অট্টহাসি অনেক সময় যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে! এমনই এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটল চিনের এক মহিলার। প্রবল হাসির পর তাঁর মুখ হাঁ হয়ে গেল। চোয়াল সরে যাওয়ায় মুখ বন্ধ করতে পারছিলেন না তিনি। দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝাউ ওই মহিলা যখন হাই-স্পিড ট্রেনে যাচ্ছিলেন, তখন এই ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলিতে জানানো হয়েছে, অনেক যাত্রীরাই ওই মহিলাকে বেশ কয়েক মিনিট ধরে প্রবলভাবে হাসতে দেখেছিলেন। হাসি থামার পরই ওই মহিলা বুঝতে পারেন যে, তাঁর চোয়াল সরে গিয়েছে। মুখ হাঁ হয়ে গিয়ে আর বন্ধ করতে পারছেন না।

সৌভাগ্যবশত ওই এক চিকিত্সক ওই বিপন্ন মহিলাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। প্রতিবেদন অনুসারে, লিওয়ান হাসপাতালের ওই চিকিত্সক লুও ওয়েনশেং ট্রেনে ছিলেন। জরুরি চিকিত্সা সংক্রান্ত সহায়তার ঘোষণা হওয়ার পর তিনি ওই মহিলার সাহায্যে এগিয়ে আসেন।

ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কথা বলতে গিয়ে চিকিত্সক ওয়েনশেং বলেছেন, আমি ছুটে গিয়ে দেখলাম ওই মহিলা কথা বলতে বা মুখ বন্ধ করতে পারছেন না। তিনি কাঁপছিলেন। আমি ভাবছিলাম, তাঁর স্ট্রোক হয়েছে। আমি তাঁর রক্তের চাপ পরীক্ষা করি।

এরপর ওই মহিলার চোয়াল আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু এর আগে তিনি বলেন, এ বিষয় সম্পর্কে তিনি বিশেষজ্ঞ নন। তাই ভুল কিছু হয়ে যেতে পারে। তবে এর পদ্ধতি তিনি জানতেন বলে জানিয়েছেন ওই চিকিত্সক।

ওই মহিলা যাত্রী ওই চিকিত্সককে জানান, এবারই প্রথম নয়, এর আগে অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় বমি করতে গিয়ে এভাবে তাঁর চোয়াল আটকে গিয়েছিল। এ কথা শুনে ওয়েনশেং ওই মহিলাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাহলে  খুব জোরে হাসি, হাই তোলা বা বেশি করে হাঁ করলে এমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চিকিত্সক থাকায় ওই মহিলা আরোগ্যলাভ করলেও তাঁর ওই হাসির কারণ কী ছিল, তা কিন্তু জানা যায়নি।