তিব্বতের কম্যান্ডার ওয়াং হাইজিয়াং জানিয়েছেন, এনবো ফাইট ক্লাব থেকে যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাঁরা জওয়ানদের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সংহতি বাড়াতে সাহায্য করবেন। এছাড়া তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন এবং অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতেই পর্বতারোহী ও মার্শাল আর্টস বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি কম্যান্ডার।
গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘাতে ভারতের ২০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। চিনের কতজন হতাহত, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিব্বতে ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জওয়ানদের পাহাড়ে লড়াই করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে অধিক উচ্চতায় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার বিষয়টিও। পাল্টা ভারতের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, চিনের মোকাবিলায় সীমান্তে জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
গালওয়ান সীমান্তে সংঘাতের জন্য দু’পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। ভারতের দাবি, চিন বেআইনিভাবে যে ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে, সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিতে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। তখনই হামলা চালায় চিন। দু’দেশের চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্তে গুলি চালানো হয়নি। তবে অন্য অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় চিন। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। পাল্টা চিন আবার ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধে দু’বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে যাওয়ার অভিযোগ এনেছে। সবমিলিয়ে ১৫ জুনের ঘটনা ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত।