BREAKING UPDATES:
# রাস্তা বন্ধ করবেন না, মানুষের অসুবিধে হবে। দলীয় কর্মীদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কাল রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল। দুপুর ২টো থেকে ৪টে মিছিল। বললেন মমতা।
# ‘জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি। আজ বাংলায় হচ্ছে, কাল অন্য জায়গাতেও হতে পারে। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে ধর্না। ওরা জানে ক্ষমতায় আসবে না, তাই এসব করছে। যেখানে বিরোধীরা ক্ষমতায় সেই সব জায়গায় রাষ্ট্রপতি শাসের চেষ্টা। সমস্ত এজেন্সি, প্রতিষ্ঠানকে সম্মান করি। দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে মোদি সরকার। মোদি পাগল হয়ে গিয়েছেন। মরে গেলেও মাথা নত করব না।’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
# দমদম নাগেরবাজারে তৃণমূলের পথ অবরোধ। আসানসোলে রাস্তা অবরোধ। রিষড়ায় রেল অবরোধ তৃণমূলের। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ তৃণমূেলর।
# ‘অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। অনেক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্যপ্রমাণ নষ্টে হাত রয়েছে রাজীব কুমারের। সিবিআই যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিল। পুলিশ কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। পুলিশের সহযোগিতা করা উচিত ছিল।’ দাবি সিবিআই যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের।
# মমতাকে ফোন অহমেদ পটেল, অখিলেশ যাদবের। কেজরীবালের সঙ্গেও কথা মমতার। জানালেন, মোদি-অমিত শাহের কাজ গণতন্ত্র-বিরোধী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছি, বললেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
# সোমবারই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে সিবিআই। দাবি সূত্রের। নিজাম প্যালেস ও সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তা দিতে ঘিরল সিআরপিএফ
# পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার ভাবনা সিবিআইয়ের। আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দাবি সিবিআই অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর নাগেশ্বরের। খবর এএনআই সূত্রে।
# ওরা একটা সিক্রেট অপারেশনে এসেছিল। কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি: যুগ্ম কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠি
# সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূেলর নেতা-মন্ত্রীরা। রয়েছেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারও। মমতা বললেন, মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসছি, তার পাশেই ক্যাবিনেট মিটিং করব, এই ধর্না আসলে সত্যাগ্রহ। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতেই এই ধর্না।
# বাংলাকে ঘিরে অত্যাচার মোদি-অমিত শাহের। গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসা যায় না মানুষ ঠিক করবে কাকে ভোট দেবে। ভোট এলেই সিবিআইকে ব্যবহার। রাজনৈতিকভাবে না পেরে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মোদির নির্দেশ কাজ ডোভালের। মিথ্যে বললে প্রমাণ করুন। যাকে পারছে তাকে ডেকে হেনস্থা সিবিআইয়ের। যখন যা খুশি তাই করা যায় না। সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করছে: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: রোজভ্যালি, সারদা কেলেঙ্কারি মামলার ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআই অফিসারদের জেরা করতে যাওয়া নিয়ে নজিরবিহীন নাটক, যা নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছড়াল রবিবাসরীয় সন্ধ্যায়।
এদিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অফিসারদের একটি দল রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়ির সামনে হাজির হয়। পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। একইসময়ে পার্কস্ট্রিট থানাতেও যায় সিবিআইয়ের আরেকটি দল। সূত্রের খবর, একটি চিঠি রিসিভ করাতে যান সিবিআই অফিসাররা।
কিন্তু তাদের কমিশনারের বাড়ির সামনে আটকায় ডিসি সাউথ ও শেক্সপীয়র সরণি থানার ওসির নেতৃত্বে বাহিনী। সিবিআইয়ের অফিসাররা বলেন, তাঁরা তদন্ত করতে সিপি-র বাড়িতে যেতে চান। পুলিশের তরফে বলা হয়, অনুমতি ছাড়া এভাবে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ঢোকা যায় না।
ওই একই সময়ে পার্কস্ট্রিট থানায় যায় সিবিআইয়ের আরেকটি দল। কিন্তু পার্কস্ট্রিট থানার তরফে বলা হয়, চিঠিতে যা রয়েছে, তা সেক্সপীয়র সরণি থানার আওতাভূক্ত। এরপর সেখান থেকে সেক্সপীয়র সরণি থানায় যান সিবিআইয়ের ওই অফিসাররা।
সেখানেও চলতে থাকে টানাপোড়েন। একসময় সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়ে যায়। সংঘাতে জড়ায় দুপক্ষ। রাস্তাতেই বাঁধে দুতরফের রাস্তাতেই ধস্তাধস্তি। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা তাঁদের ঘিরে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান।
তারপর তাঁদের আটক করে গাড়িতে তুলে দেন তাঁরা। নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপীয়র থানায়। এরপর থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের দাবি, দলটি বিভিন্ন চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করছে। সে ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে যান তাঁরা। কিন্তু তাদের কয়েকজন অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও, কলকাতা পুলিশের দাবি, সিবিআই অফিসারদের আটক করা হয়েছে।
এদিকে, সিবিআই অফিসাররা যেসময় পুলিশ কমিশনারের বাড়ির সামনে এসেছেন, সেই সময় সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতর ঘিরে ফেলে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের আঞ্চলিক অধিকর্তা যেখানে থাকেন, সেই নিজাম প্যালেস ঘিরে ফেলে কলকাতা পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এই বেনজির ঘটনাবলীর মধ্যেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে চলে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মাও। এর কিছুক্ষণের মধ্যে রাজভবন সূত্রে জানা যায়, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চায় সিবিআই। তারা আরও জানিয়েছে, গোটা ঘটনাটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, সিবিআই রোজভ্যালি এবং সারদাকাণ্ডে জিজ্ঞাসবাদের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে খুঁজছে। প্রয়োজনে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতারও করতে পারে বলে জানায় পিটিআই। সিবিআই-কে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানায়, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ‘পলাতক’। তাঁর ‘খোঁজ চলছে’।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, একাধিক চিটফান্ড তদন্তে রাজ্যের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। সিবিআই-এর দাবি, ওই তদন্তের বেশ কিছু ফাইল বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে কমিশনারকে ডাকা হলেও, তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে দেখা করেননি। যে কারণে, এদিন প্রশ্ন করতে তাঁর বাসভবনে যায় সিবিআই।
এই প্রেক্ষিতে রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করলেন বিজেপিকে। সেই খবরের প্রতিক্রিয়ায় আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে বলেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিশ্বসেরা। তাঁর সততা, সাহসিকতা এবং দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
মমতা আরও জানান, কমিশনার ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন, মাঝে মাত্র একদিন ছুটি নিয়েছিলেন। মিথ্যে ছড়ালে তা মিথ্যেই থাকে। ট্যুইটে তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা বিজেপি নেতৃত্বের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জঘন্যতম উদাহরণ। কলকাতা পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, সিপি-কে সিবিআই খুঁজছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা ভিত্তিহীন। পুলিশ কমিশনার শহরেই আছেন। নিয়মিত অফিসও করছেন। একমাত্র গত ৩১ জানুয়ারি উনি একদিনের জন্য ছুটি নেন।
এমনকী, কলকাতা পুলিশের তরফেও দাবি করা হয়, রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের যে খবর প্রচারিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের একাংশে তা একেবারে ভিত্তিহীন। সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জাভেদ শামিম দাবি করেন, সারদাকাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে যে খবর প্রচারিত হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।