নয়াদিল্লি: দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির ক্ষেত্রে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র অনুমোদন পেল সিপলা/মডার্না। এ ব্যাপারে শীঘ্রই সরকারিভাবে ঘোষণা হবে বলে জানা গেছে। দেশে নিয়ন্ত্রিত আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন দেশে আমদানির ব্যাপারে সিপলাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 
উল্লেখ্য, এই অনুমোদনের ফলে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, সিরাম ইনস্টিটিটিউটের কোভিশিল্ড ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-র পর চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে এ দেশে এই টিকা দেওয়া হবে। ওষুধ কোম্পানি সিপলা সোমবারই মডার্না ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল।
এই টিকা ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের প্রদান করা হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকাকরণ এখনও হচ্ছে না। ডিজিসিআই-এর পক্ষ থেকে ১৫ এপ্রিল ও ১ জুন নোটিস দিয়ে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যদি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোনও ওষুধ বা টিকা অনুমোদন করে, তাহলে ট্রায়াল ও সুরক্ষার বিষয়টি যাচাই না করেই প্রথম ১০০ জনকে সেই টিকা বা ওষুধ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে। এই নোটিসের ভিত্তিতেই মডার্নার ভ্যাকসিন আমদানি করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় সিপলা।
সেইসঙ্গে কোভ্যাক্সের আওতায় ভারত সরকারকে মডার্নার  ভ্যাকসিনের কিছু অংশ দিতে সম্মত হয়েছে। কোম্পানি তাদের ভ্যাকসিনের জন্য সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-র অনুমোদন চেয়েছিল।
মডার্নার ভ্যাকসিন করোনার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি। ফাইজারের মতো মডার্নাও এমআরএনএ ভ্যাকসিন।   সম্প্রতি ফাইজার সিইও অ্যালবার্ট বউরলা বলেছিলেন যে, তাদের ভ্যাকসিন খুব শীঘ্রই ভারতে পাওয়া যাবে। কারণ, অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ফাইজার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই সমঝোতা চূড়ান্ত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। 
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে,  ১৯৪০-এৎ ডিসিজিআই ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন অনুসারে নতুন ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা নিয়ম সংক্রান্ত ২০১৯-এর  ধারায় সিপলাকে দেশে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য মডার্না টিকার আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।