নয়াদিল্লি: সুইজারল্যান্ড থেকে কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য জানাতে ফের অস্বীকার করল কেন্দ্র। তাদের যুক্তি, গোপনীয়তার খাতিরে এ ব্যাপারে তথ্য দিতে রাজি নয় তারা।

তথ্যের অধিকার আইনের ভিত্তিতে আবেদন করা হয়, যে সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়া কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য বিশদে জানাতে হবে। যে সব কোম্পানি ও ব্যক্তি কালো টাকার পিছনে রয়েছেন তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে, জানাতে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জবাবে অর্থ মন্ত্রক বলেছে, তদন্ত যেভাবে চলছে তার ভিত্তিতে প্রতিটি মামলা আলাদা করে বিচার করে ভারত ও সুইজারল্যান্ড নিজেদের মধ্যে কালো টাকা নিয়ে তথ্য ভাগ করে নেয়। কিন্তু সুইজারল্যান্ড এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য দিয়েছে, সেগুলিতে গোপনীয়তা রক্ষার শর্ত আছে।

২০১৬-র শেষে ভারত ও সুইজারল্যান্ড মাল্টিল্যাটারাল কনভেনশন অন মিউচুয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্স ইন ট্যাক্স ম্যাটার্স বা এমএএসি-তে সই করেছে। এর ফলে আর্থিক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করবে তারা। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য এ বছর থেকে তাদের হাতে আসবে। এর ফলে হিসেব বহির্ভূত আয় ও ভারতীয়দের সুইজারল্যান্ডে রাখা সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবে দিল্লি।

তবে দেশে ও দেশের বাইরে ঠিক কত কালো টাকা রয়েছে তার নির্দিষ্ট কোনও হিসেব নেই বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।

মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ফ্রান্স থেকে যে সব তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ৪২৭টি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা হিসেব বহির্ভূত ৮,৪৬৫ কোটি টাকার ওপর কর ধার্য করা হয়েছে। ১৬২টি মামলায় ধার্য করা হয়েছে ১,২৯১ কোটি টাকা জরিমানা।

এর আগে এমনই এক আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয় দেশে ও বিদেশে ভারতীয়দের রাখা কালো টাকা নিয়ে যে তিনটি রিপোর্ট বেরিয়েছে, তার কপি দিতে পারবে না তারা, কারণ সেগুলি একটি সংসদীয় প্যানেলের বিচারাধীন। তথ্য প্রকাশ হয়ে গেলে তা সংসদের অবমাননা হবে।