জয়পুর: রাজস্থানের আলওয়ারে স্বামীর সামনে গণধর্ষণের শিকার দলিত মহিলার সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা রাহুল গাঁধীর। কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গী হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লট, কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে। রাহুল সাংবাদিকদের পরে বলেন, এসব বরদাস্ত করা হবে না। নির্যাতিতা ন্যয়বিচার পাবেন। ঘটনাটি জানামাত্র গেহলতজিকে ফোন করে বলি, আমি আসতে চাই। এটা আমার কাছে রাজনীতি নয়, আবেগের ব্যাপার। শুধু রাজস্থান নয়, সারা দেশেই এই বার্তা জানিয়ে দিতে হবে যে, এসব সহ্য করা হবে না।
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, জানাতে গিয়ে রাহুল বলেন, ওঁরা ন্যয়বিচারের কথা বলেছেন। ওঁরা ন্যয়বিচার পাবেন, অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ঘটনায় উদাসীনতা, গাফিলতির যে অভিযোগ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করেছেন, তার পাল্টা রাহুল বলেন, আমি এ নিয়ে রাজনীতি করতে এখানে আসিনি, পরিবারটির সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। পরিবারটি ন্যয়বিচার চায়।
গত ২৬ এপ্রিল ৬ জন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গী হয় থানাগাজি-আলোয়ার বাইপাসে। অভিযোগ, তাঁদের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে স্বামীর সামনেই মহিলাকে ধর্ষণ করে তারা। ২ মে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযুক্তরা ৪ মে ধর্ষণের একটি ভিডিওক্লিপ সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। গ্রেফতার করা হয় ধর্ষণে জড়িত বলে অভিযুক্ত ৫ ও ছবি তুলে রাখা ও সম্প্রচার করায় যুক্ত আরেকজন।
এ ঘটনার নিন্দায় আলোয়ার, জয়পুর, দৌসা ও তার আশপাশে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্যসভা এমপি কিরোরীলাল মিনার নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল হিংসাত্মক চেহারা নেয়। জখম হয় অনেকে।
ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বসপা নেত্রী মায়াবতী। মোদির সমালোচনার পাল্টা তাঁকে আক্রমণ করে গেহলত বলেন, গোটা দেশ জানে, উনি রাজনীতি করছেন, মিথ্যা বলেন, যা দুর্ভাগ্যজনক। গোটা বিজেপিই প্রতিবাদে সামিল। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, কারা রাজনীতিতে ইন্ধন দিচ্ছে। সরকারি পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২ মে এফআইআর দায়ের হয়। পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করা হবে। নির্যাতিতার চাকরির ব্যবস্থাও হবে।